মিয়ানমার সরকার দেশটির নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের বিদ্রোহী সংগঠন কাচিন ইনডিপেনডেন্ট অর্গানাইজেশনের (কেআইও)সঙ্গে সাত দফা ভিত্তিক অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
কাচিন প্রদেশের রাজধানী মিতকিনায় এই চুক্তি সই হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এই চুক্তির ফলে কাচিনদের রাজনৈতিক সমস্যার বিষয়টি বড় পরিসরে আলোচনার দিকে এগিয়ে যাবে।
২০১১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও কেআইও’র মধ্যকার অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে গেলে ব্যাপক লড়াই শুরু হয়। এতে শত শত মানুষ নিহত হয়।
দীর্ঘ সময় ধরে চলা কাচিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের ফলে লাখো অধিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়।
কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির তিনদিনের আলোচনায় মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার একজন পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। চীনসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীদের প্রতিনিধিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তবে কেআইও’র এককভাবে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে সম্মতিই যথেষ্ঠ নয়। কাচিনের স্বায়ত্বশাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরুও জরুরি।
তবে সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, ৭টি দফার ভিত্তিতে অস্ত্রবিরতির চুক্তি হয়েছে তাতে সাময়িক স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক আলোচনার অঙ্গীকারও রয়েছে।
এরআগের আলোচনাগুলো চীন ও থাইল্যান্ড সীমান্তের ভেতরে এবং মিয়ানমার সীমান্তের কিছুটা অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বছর কেআইও’র অবস্থান লক্ষ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আকাশ হামলা চালালে তা ব্যাপকবাবে সমালোচনার শিকার হয়। অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে কেআইও স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসছে।
চীন সীমান্তের নিকটবর্তী কাচিন প্রদেশের সদরদপ্তর লাইজাকে ঘিরেই অধিকাংশ লড়াইগুলো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।