আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চীনে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে মিয়ানমারের কাচিন শরণার্থীরা

চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে চীনে আশ্রয় নেওয়া কাচিন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। প্রয়োজনীয় আশ্রয়, খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না তারা। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাবি্লউ) গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। এইচআরডাবি্লউ জানিয়েছে, চীনে অবস্থানকারী প্রায় ১০ হাজার কাচিন শরণার্থী জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের স্বল্পতায় ভুগছে। আবার অনেক আশ্রয়প্রার্থীকে চীনে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না বা জোর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনটি শরণার্থীদের অতিসত্বর ত্রাণসহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অনুমতি দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানায়। স্বাধীন আবাসভূমির দাবিতে আন্দোলনরত কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের শান্তি আলোচনায় বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে চীন। কাচিনদের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের ১৭ বছরের একটি অস্ত্রবিরতি গত বছর শেষ হয়। এরপর দুই পরে মধ্যে ছয় দফা আলোচনা হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সর্ব উত্তরের প্রদেশ কাচিন থেকে সরকারি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর সংঘাতের কারণে বর্তমানে অন্তত ৭৫ হাজার কাচিনবাসী শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে।

এদের বেশির ভাগই চীনের ইউনান প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা মিয়ানমারের অন্য অঞ্চলে পালিয়ে গেছে। এইচআরডাবি্লউর গতকাল প্রকাশিত ৬৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য, আশ্রয়, পয়োনিষ্কাশন এবং তাদের সন্তানদের জন্য শিার ব্যবস্থা করার সুযোগ পাচ্ছে না কাচিন শরণার্থীরা। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, প্রধান প্রধান দাতা সংস্থাগুলোকে শরণার্থীদের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকটি ছোট ছোট সাহায্য সংস্থা সেখানে কাজ করছে।

ব্যাংককে প্রতিবেদন প্রকাশকালে এইচআরডাবি্লউর এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, শরণার্থীরা পরিত্যক্ত গুদাম বা ওই ধরনের কোনো স্থানে অস্থায়ী আবাস তৈরি করে বসবাস করছে। অনেক ক্ষেত্রেই কাচিনের পুরো গ্রামসুদ্ধ লোক শরণার্থী হিসেবে চীনে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, 'শরণার্থীরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সীমাহীন হয়রানি আর অন্যায় আচরণের শিকার হচ্ছে। ' শতাধিক শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এইচআরডাবি্লউ। সংগঠনের চীন অঞ্চলের পরিচালক সোফিয়া রিচার্ডসন এক বিবৃতিতে বলেন, 'সাধারণত ইউনান প্রদেশে কাচিন শরণার্থীদের অবস্থান নিয়ে আপত্তি করে না চীনা সরকার।

তবে এখন শরণার্থীদের ফিরিয়ে না দেওয়া এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। ' তিনি বলেন, 'শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া বা আশ্রয়-খাদ্য ছাড়া থাকতে বাধ্য করার কোনো অধিকার নেই চীনের। ' তারা জানায়, গত বছর জুন থেকেই চীন কাচিন উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।