আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বিষয়ে দিল্লিতে গোলটেবিল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে এ অঞ্চল অশান্ত হবে
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি
Click This Link
**********************
শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ যখন তুঙ্গে তখন ভারতীয় সরকার বলে এটা তাদের মদদে হচ্ছে;
Protesters at Shahbagh in Bangladesh backed by India
Click This Link
তখনই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দিল্লী আসলে কি চায়। তার আধিপত্য এবং হাসিনার আলীগের র্দূনীতি, জুলুমের শাসন বজায় রাখতেই এই মদদ। সিংহভাগ জনগণের দাবী যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে দেশে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় তার জন্য এই সমস্ত আয়োজন। এক ঢিলে একাধিক পাখী মারা। ভারত ভালভাবেই জানে ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ দুই দফা পরিবর্তন সত্ত্বেও এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভারতকে বিমাতা ও অবিশ্বাস করা এবং মূল পার্থক্য হচ্ছে ধর্ম।
এই দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। এখন ভারত ও তার এই দেশীয় দালালরা যেহেতু সরাসরি কিছু করতে পারে না তাই ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাত তুলে এই দেশের সিংহভাগ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধকে কিভাবে নষ্ট করা যায় তারই চক্রান্ত চলছে। এর প্রমাণও পাই এখানে;
বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ অস্তিত্বের জন্য লড়ছেঃ RAW এর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান!
Click This Link
Bangladesh: A battle for its secular soul
Click This Link
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনী দ্বারা কখনই এই দেশটাকে শরীয়া আইন জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া হয় নাই। বরং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনেও কোন বাধা নাই। এখন দেশের সিংহভাগ জনগণ যাকে বেছে নিবে সেই দেশের সংবিধান প্রণয়ন করে নেতৃত্ব দিবে।
এটাই সুষ্ঠ পন্থা। কিন্তু দিল্লী ও তার তাবেদারদের এটা পছন্দ নয়। তারা চাচ্ছে যেন ২০০৮এর মত একটা সাজানো নির্বাচন হয়ে যাক তাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগ্রাহ্য করছে। প্রথমে সংবিধান হতে "আল্লাহ" শব্দ বদলে "সৃষ্টিকর্তা" করা এবং পরে পুরোপুরি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে হাসিনা গং বদ্ধপরিকর। কারণ দিল্লী এটাই চায়।
এখন দেশের ইসলামী দল সহ মূল বিএনপি এটা মেনে নিবে না সহজেই অনুমেয়। সুষ্ঠ ভোটে তাদের ব্যাপক বিজয় হবে এটাই দিল্লীকে দূঃশ্চিন্তায় ফেলে দিছে। তাই এখন তথাকথিত মৌলবাদ জঙ্গীবাদের জুজু আনছে। যদি দেশের সিংহভাগ মানুষ ৫ম ও ৮ম সংশোধনীর পক্ষে থাকে এটা কিভাবে অন্যায় হয়? আমাদের দেশের নীতি নির্ধারণ কে করবে ভারত নাকি দেশের সাধারণ জনগণ? এই বিষয়টাই নিকট ভবিষ্যতে নির্ধারিত হবে। এই দেশের সিংহভাগ মানুষের ইসলামী মূল্যবোধ বিনষ্ট হওয়ার অর্থই ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগটা ভুল হয়ে যায়।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে বিদায় করলেও এই দেশের মানুষ তাদের ধর্মটাকে পরিত্যাগ করে নাই। কারণ ইসলাম পাকিস্তানের পৈতৃক সম্পত্তি না। স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত নিজে ও তার দালালদের দ্বারা কারসাজি করে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিচ্ছে। এর জন্য তারা তথাকথিত বাঙালী সংস্কৃতির মাধ্যমে পৌত্তলিকতাকেও ব্যাবহার করছে। এই বিষয়ে ২২শে জানুয়ারী ২০১২ সালে ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে;
তিনি(হাসিনা) জানেন, ইসলামী সত্তার মোকাবিলা করতে হয় বাঙালী জাতিসত্তা দিয়েই।
http://www.mediafire.com/?5u19wa3h3e5348u
তাই সেই বহু পুরোনো ধারাবাহিকতার ভিত্তিতেই দিল্লীতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরোধী এই চক্রান্তমূলক বৈঠক। হাসিনা ও আলীগের মত তাবেদার থাকলে ভারত সুযোগ নিবেই। হাসিনা গং স্রেফ মুখে মুখে স্বাধীনতা কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। সামনে অনেক কঠিন ও চরম অনিশ্চিত পরিস্থিতি আসছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।