আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণগ্রেফতার তল্লাশি চলছেই

হরতালসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নানা কর্মসূচিকে ঘিরে গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে দেশজুড়ে।

একই সঙ্গে বিএনপি, এর অঙ্গসংগঠন, জামায়াত ও শিবির নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ এই অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায়, এমনকি বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে চালাচ্ছে ব্যাপক তল্লাশি। কোনো কোনো স্থানে গণগ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন পথচারী ও সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারা দেশে অন্তত দুই হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করছে র্যাব-পুলিশ। এ হিসাবে গত নয় দিনে ১৮-দলীয় জোটের ১৮ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা : রাজধানীর শ্যামপুরে নিজ বাসা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কদমতলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক তানভীর আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তানভীর বিএনপির সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের (দৌড় সালাউদ্দিন) ছেলে। ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইলিয়াস শরীফ জানান, তানভীর অন্তত তিনটি নিয়মিত মামলার আসামি।

গতকালও তার নির্দেশে গাড়িতে অগি্নসংযোগ হয়েছে। রবিবার তার রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে আটজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-পুলিশ। তাদের তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে দুজনকে বারিধারা কূটনীতিকপাড়ার নেদারল্যান্ড অ্যাম্বেসির সামনে থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।

পরে তাদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব-১-এর মেজর মোশতাক আহমেদ জানান, তারা অ্যাম্বেসি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতার নির্দেশেই তারা নেদারল্যান্ড অ্যাম্বেসির সামনে এসেছিল। এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানের কারণে রাস্তায় চলাচলকারীদের অনেকেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিকশা কিংবা বাসে না উঠতে পেরে গতকাল বেলা ১২টার দিকে বাধ্য হয়েই মতিঝিলের উদ্দেশ্যে হাঁটছিলেন পথচারী আফতাব উদ্দিন।

শান্তিবাগের রাস্তায় টহলরত পুলিশ সদস্যরা তাকে থামিয়ে দেহ তল্লাশি করেন। তিনি বলেন, 'মাঝেমধ্যেই শুনতে পাচ্ছি কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ নিরীহ লোকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি ভাই...। ' রাজধানীর মতিঝিল, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, মগবাজারসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় ব্যাপক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

ব্যাপক তল্লাশির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, হরতালের আগের দিন থেকেই দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে।

এ কারণেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পাঁচ ঘণ্টায় ১৮ অভিযান : ৭২ ঘণ্টা হরতাল ঘোষণার চার ঘণ্টা পরই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপির দুই ডজন নেতাকে গ্রেফতারের টার্গেট নিয়ে রাজধানীতে ঝটিকা অভিযান চালায়। গত শুক্রবার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে রাত একটা পর্যন্ত। টানা এই পাঁচ ঘণ্টায় গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়েছে অন্তত ১৮টি। শ্বাসরুদ্ধকর এসব অভিযান চালাতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে ৪০টিরও বেশি মাইক্রোবাস ব্যবহার করতে হয়েছে।

এসব অভিযানের মধ্যে চারটি অভিযানে পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। আর এসব অভিযানের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীতে অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, হরতাল ঘোষণার পরই নেতাদের গ্রেফতার অভিযানের সিদ্ধান্তটি তাদের জানানো হয়। সারা বিকাল এ নিয়ে গোয়েন্দারা দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকগুলোতে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হতে থাকে। নজরদারিও চলে নেতাদের ওপর। কঠোর গোপনীয়তায় শুরু হয় শুক্রবারের রাতের অভিযান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঙ্গীয় ফোর্স সদস্যদেরও আগে থেকে অভিযানের কেন্দ্র সম্পর্কে জানানো হয়নি। ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও ছিল পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ।

সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ এই অভিযান শুরু করে। প্রতিটি অভিযানে দুটি মাইক্রোবাস থাকলেও স্থানীয় থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় সাহায্য করে। তিনি বলেন, প্রথমে তিন শীর্ষ নেতার গ্রেফতারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই গাঢাকা দেন অন্যান্য নেতারা। শীর্ষ নেতারাই শুধু নয়, গাঢাকা দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের নেতারাও। টার্গেট অনুযায়ী সব নেতার বাসায় অভিযান চালানো হয়নি।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের গ্রেফতারের টার্গেট পূরণে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শুরু হয় রাত ৮টা থেকে। নেতাদের তালিকা ও নজরদারির আগাম তথ্য নিয়ে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দফতর থেকে সাদা পোশাকের পুলিশের দল মাইক্রোবাসে করে একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে। সোনারগাঁও হোটেলের সামনের অভিযান দলটি প্রথম সফল হয়। রাত ৮টার কিছু সময় পর তারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপরই পুলিশের ওয়াকিটকিতে ভেসে আসে অপর দুই স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এবং রফিকুল ইসলাম মিয়ার গ্রেফতারের সংবাদ।

অপর দুই অভিযানে এই দুই নেতা গ্রেফতার হন।

গোয়েন্দা পুলিশের অপর দলগুলো টার্গেট পূরণে একে একে অভিযান চালাতে থাকে। কিন্তু কোথা থেকেও আর গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছিল না। সাদা পোশাকের দলগুলো নেতাদের বাসাবাড়ির আশপাশে ওতপেতে থাকে। তথ্য নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়।

কিন্তু কোথাও নেতাদের খুঁজে না পেয়ে বাসার সামনে ও আশপাশে অবস্থান নেয়।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন অসীম, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি, দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি, বিএনপির সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হকের বাসায় পৃথক অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসব নেতার বাসাবাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে থাকে গোয়েন্দারা। আর যখন গ্রেফতারের সম্ভাবনা নেই তখনই গোয়েন্দাদের মাইক্রোবাস একে একে ফেরত আসে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দফতরে। এরই মধ্যে গুলশান এলাকায় অভিযানে অংশ নেওয়া দলটি সংবাদ পান বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন থেকে বের হবেন কোন কোন নেতা।

রাত ১টায় বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস। তাদের মাইক্রোতে তুলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোজা গোয়েন্দা দফতরে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রংপুর : শুক্রবার রাজধানীতে বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতা গ্রেফতারের পর রংপুরে রাতভর বিএনপি, জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনগুলোর অধিকাংশ নেতার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের বাসায় না পেলেও তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগাছা উপজেলা থেকে বিএনপির তিন নেতা এবং কাউনিয়া উপজেলা থেকে দুই জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের সদস্য। এতে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দল দুটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

বরিশাল : রাতে বাসায় ঘুমাচ্ছেন না বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। কারণ শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াতের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই সময় মহানগর বিএনপির সভাপতি ও দলের কেন্দ ীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ার এমপির ঢাকার গুলশানের ও মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুয়াযয্ম হোসাইন হেলালের বরিশাল নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ডের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ : জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করতে শহরের মাসদাইরের বাসায় দুই দফা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে এ সময় তারা কাউকে আটক করতে পারেনি। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এবং গতকাল সকাল পৌনে ৯টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ অভিযান চালায়। তৈমুর আলম খন্দকার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ ও সাদা পোশাকধারীরা অভিযান চালাতে গেলে দারোয়ান গেট খোলেনি। পরে সকাল পৌনে ৯টায় তারা আবারও অভিযান চালিয়ে তার শোয়ার ঘর থেকে শুরু পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালায়।

এ সময় বাড়িতে কাউকে না পেয়ে চলে যায় পুলিশ।

বাগেরহাট : শরণখোলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি করেছে পুলিশ। উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েতসহ অন্য নেতা-কর্মীদের বাড়িতে শুক্রবার রাতে গ্রেফতারে উদ্দেশ্যে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন।

শেরপুর : জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলকে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ।

গতকাল দুপুর থেকেই তার বাসার চারপাশ পুলিশ, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘিরে রাখে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

যশোর : শুক্রবার রাত ও গতকাল সকালে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ব্যাপক তল্লাশি করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে। এদের মধ্যে ১৩ জন বিএনপির ও একজন জামায়াতের নেতা।

গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মধ্যে নগর বিএনপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফও রয়েছেন। জামালপুর : বিএনপি ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। শহরের বটতলা ও মাদারগঞ্জ উপজেলা থেকে গতকাল ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় যুবদলের ছয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার চরপাড়া, মুড়াপাড়া, ভিংরাব ও আদমজী এলাকা থেকে গতকাল ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এরা হলেন হযরত আলী, আলী আহাম্মেদ, বাহারুল ইসলাম হিরণ, মনির হোসেন, আল-আমিন ও কামাল হোসেন।

চাঁদপুর : বিভিন্ন উপজেলায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সদরে দুজন, ফরিদগঞ্জে তিনজন, হাইমচরে দুজন, মতলবে দুজন ও হাজীগঞ্জে একজন।

কুষ্টিয়া : হরতালের আগে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতভর অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকা তাদের আটক করা হয়।

এর মধ্যে ভেড়ামারা উপজেলা থেকে একজন, দৌলতপুরে এক, মিরপুরে চার, কুমারখালীতে দুই ও খোকসা উপজেলা থেকে দুজনকে আটক করা হয়।

মাগুরা : শ্রীপুর উপজেলা শাখা বিএনপির সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়াদ্দার ও জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আনজুম হাসান সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

নড়াইল : নাশকতার অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গতকাল ভোরে আটক করেছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল ভোরে তাদের আটক করা হয়।

মেহেরপুর : মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম মনিকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

ঝিনাইদহ : হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় গতকাল দুই বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আলম ও আসলাম।

সিরাজগঞ্জ : জেলা বিএনপির সহসভাপতিসহ তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরা হলেন সহসভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের এবং সলঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ। শুক্রবার গভীর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপালগঞ্জ : জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের বেদগ্রাম বাস কাউন্টার থেকে গতকাল তাকে আটক করা হয়।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।