যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
সারাদেশ জুড়ে আবারো যৌথবাহিনী ধরপাকড় শুরু করেছে । বলা বাহুল্য যে সেই ধরপাকড়ের টার্গেট রাজনীতিবিদরাই । দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার রাতভর আকস্মিক অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিসহ অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
যশোর, নড়াইল, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলায় এ অভিযান চলে। সারাদেশে ঘরোয়া রাজনীতি উন্মুক্ত করার ১৭ দিনের মাথায় এ গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হলো।
জনগনের ধারণা, আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সারাদেশের রাজনীতিবিদদের দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য সারাদেশের নেতাদের যে দবী সেই দাবীকে থামাতেইই এই অভিযান । এই সরকারের শুরুতে জাতীয় রাজনৈতিক দলরে নেতাদের ধরপাকড়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে ভাংগার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা ভেস্তে গেছে দেশের জেলা শহরের রাজনীতিবিদদের অসহযোগিতার কারণে । সেই জেলা শহরের নেতারা যেমন দুই নেত্রীকে ছাড়া নির্বাচনের অংশ নিতে নারাজ তাই তাদেরকেও চাপের মধ্য রাখতেই সরকারের আকস্মিক এই ধরপাকড় ।
দেশের জেলা শহরের নেতাদের আটকের মধ্যদিয়ে তাদের উপরও চাপ প্রয়োগ করার এবং ভীতি সঞ্চার করার জন্যই এই অভিযান ।
এই ভীতি সঞ্চারের ফলে জেলা পর্যায়ের নেতারাও গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিবে বলে সরকারের বিশ্বাস । এবং নেত্রীদের ছাড়া নির্বাচন না করার যে দাবী তা ধামাচাপা পড়বে বলেই তাদের প্রত্যাশা । জেলা পর্যায়েল নেতারা মুখ খুললেই গ্রেফতার হবেন বলে বিশ্বস্তসূত্র থেকে বিভিন্ন নেতাদের ইংগিত করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য নেত্রীকে মুক্ত করতে জেলা পর্যায়ের নেতারা যে আন্দোলনের ডাক দেয়ার জন্য জাতীয় নেতাদের চাপ দিচ্ছিলেন সেখান থেকে সরে আনতেই সরকার এই গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে ।
ঘরোয়া রাজনীতি শুরু ১৭ দিন পার না হতেই সরকারের এই অভিযান নিয়ে সবমহলেই প্রশ্ন উঠছে । এই গ্রেফতার এবং মামলা সরকারকে কতখানি সফল করকে তা নিয়ে ও প্রশ্ন উঠেছে । এভাবে সরকার তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।