সজীব ওয়াজেদ জয় একটি নতুন বাংলাদেশের নাম, অগ্রসরমান এদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথের দিশা। তাঁর নেতৃত্বে নৌকার জোয়ার আরম্ভ হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার নতুন কা-ারি। ১ নভেম্বর (২০১৩) থেকে তিনি দেশের গ্রাম-গঞ্জের পথে-ঘাটে চলতে শুরু করেছেন। প্রদীপ্ত শিখার মতো তাঁর ঔজ্জ্বল্য বিএনপি-জামায়াতকে হতবিহ্বল করে তুলেছে।
তিনি মাঠে-ময়দানের বাংলার জনগণকে বলছেন, ‘উন্নয়নের ধারা সচল রাখতে নৌকায় ভোট দিন। ’ আরো যুক্ত করছেন ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল, ওরা ক্ষমতায় এলে ফের হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ। ’ তাঁর পথসভাগুলোতে অসংখ্য মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর মতোই দরদ ঢেলে বক্তৃতার পর বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন। তিনি জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছেন যে, আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিজয়ী করা ছাড়া এদেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক ও দেশকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসে আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটিই।
এজন্য সংবিধান মান্য করে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। কারণ জাতি এখন আর কোনো অনির্বাচিত সরকার দেখতে চায় না। কোনো অনির্বাচিতরা আর তত্ত্বাবধায়কের নামে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। তাঁর এই যুক্তিবাদী কথার পর বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধকে তরুণ প্রজন্ম প্রত্যাখ্যান করবে এটাই স্বাভাবিক।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য স্পষ্ট।
বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্যের শুরুতেই তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিরিজ জয়ে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যুক্তি দিয়ে তিনি মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, বিএনপি-জামায়াত ‘সন্ত্রাসী দল’। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দিলে দেশে আবারও সন্ত্রাস ফিরে আসবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, লোডশেডিং, গ্রামে গ্রামে মঙ্গার পাশাপাশি দেশে ফের ‘হাওয়া ভবন’ ফিরে আসবে। দেশের জনগণ কোনো সন্ত্রাসী দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তাই দেশকে পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
আমাদের মতে তিনি সত্য কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসমুক্ত থাকে, সার্বিক উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস। বিএনপি বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, সন্ত্রাসী কর্মকা- করছে।
তারা বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল এখন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসী কর্মকা- করছে। এখন হুজি, জামায়াত, শিবিরকে জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত আর রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এখন যেমন তেমনি আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে, প্রতিটি গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হবে, যেখানে বিনামূল্যে মানুষ চিকিৎসাসেবা পাবে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের।
স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম অবৈতনিক করারও টার্গেট রয়েছে এ সরকারের। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত জোট আবার ক্ষমতায় আসলে দেশে জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি ও সন্ত্রাস ফিরে আসবে। দেশে সর্বদলীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে বিরোধী দলের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএনপি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৩ দিনের হরতাল (২৭-২৯ অক্টোবর) দিয়ে ২২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নেত্রীকে ফোন করে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সে অনুরোধ উপেক্ষা করে বিএনপি নেত্রী ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন, হরতাল দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছেন।
একই উদ্দেশ্যে বিএনপি জোট আবারো ১০, ১১,১২ ও ১৩ নভেম্বর হরতালের ডাক দিয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো সাধারণ জনগণও এখন বলতে শুরু করেছে, যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, কোনো অনির্বাচিত সরকারকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। আলোচনার পথ ছেড়ে বিএনপি হরতাল দিয়ে আইনমন্ত্রীর বাসভবন, আইসিটি প্রসিকিউটরের বাসভবন, বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্নস্থানে বোমা মেরে শিশুসহ অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ বিএনপি বলেছে ২১ জন কম হয়ে গেছে। আগামীতে হরতাল হলে ৪০ জন মারা যাবে।
এটা গণতন্ত্রের লক্ষণ হতে পারে না। তাই দেশের জনগণ কোনো সন্ত্রাসী দলকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়া জরুরি। উল্লেখ্য, দেশবাসী টিভিতে দেখেছেন ও শুনেছেন কীভাবে বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন।
অথচ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য গ্রেফতারকৃত মুফতি হান্নান সাক্ষ্য দিয়েছেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছে। খালেদা জিয়ার স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী বাবর আজ কারাগারে। তারপরও খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন। এরকম মিথ্যাচার কোনো নেত্রীর কাছ থেকে জনগণ আশা করে না। মূল লেখা: স্বদেশ খবর.কম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।