আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি পুলিশের সঙ্গে বিদেশি শ্রমিকদের সংঘাতে নিহত ২

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। কয়েক শ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত সপ্তাহে শ্রমিকদের ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতাকে কেন্দ্র করে পুলিশ অভিযান শুরু করলে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত হয়। সে সময় একজন নিহত হন এবং কয়েক হাজার শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।

রয়টার্স জানায়, গতকাল দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার গাড়ি ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে।

সৌদি পুলিশ শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ রিয়াদের পার্শ্ববর্তী মানফুহা এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর দায়ে ৫৬১ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত দুজনের একজন সৌদি নাগরিক। তবে আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। সংঘাতে ৬৮ জনের আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

সংঘাতে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগ শ্রমিকই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া।

এর আগে পুলিশ আরেকটি বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে শনিবারের সংঘাতে আহত বা আটক করার কথা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। তবে একটি স্থানের কথা উল্লেখ করেছিল, যেখানে শ্রমিকেরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন।  

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, যে শ্রমিকেরা ভিসা-সংক্রান্ত বিধি অমান্য করছেন, তাঁদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।

দেশটিতে অনেক শ্রমিক ভিসার মেয়াদ ফুরাবার পরও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। এ সময় কোম্পানিরা এসব শ্রমিকের কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাঁদের দায়দায়িত্ব বহন করে না।

এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো অভিবাসী শ্রমিকদের থেকে কালোবাজারির মাধ্যমে সস্তায় শ্রম নেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করা, অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস করা, অন্য দেশে রেমিট্যান্স কমানো এবং সৌদি নাগরিকদের জন্য বেসরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করা।

ভিসার মেয়াদ ফুরানো অভিবাসী শ্রমিকদের কোনো ধরনের জরিমানা না দিয়ে নতুন করে কাজের অনুমতি লাভ অথবা দেশ ত্যাগ করার জন্য সাত মাসের সুযোগ দিয়েছিল সৌদি সরকার। গত সোমবার এ মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

এরপর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

ইংরেজি ভাষার দৈনিক ‘আরব নিউজ’ শুক্রবারের প্রতিবেদনে এক ইথিওপীয় শ্রমিকের মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেছে, শ্রমিকটি পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন।

দোকান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং সস্তা আবাসে পুলিশের ঝটিকা অভিযানে আটক করা শ্রমিকদের সম্ভবত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

অনেক অভিবাসী শ্রমিক বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এবং মূল নিয়োজকদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তাঁরা সরকারের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি।

মানফুহায় সৌদি পোশাকধারী ব্যক্তিরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ছোরা ও লোহার দণ্ড বহন করছিলেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.