এক থেকে দুই বছর আগে "জীনের বাদশা" নামে একটা প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছিল। এদের কাজ ছিল বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ফোন দিয়ে
কৌশলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া। পত্রিকাতেও এ ব্যাপারে লেখালাখি হইছে। একদিন রাত ১০টার দিকে আমার কাছেও "জীনের বাদশা"
ফোন দিল।
জীনের বাদশাঃ আসসালামুয়ালাইকুম...অমুক মাজার থেকে আমি জীনের বাদশা বলছি।
আমিঃ আরেহ মামা কি অবস্থা?
জীনের বাদশাঃ আমি তোমার মামা না,আমি জীনের বাদশা।
আমিঃ কইলেই হইব তুমি আমার মামা না...সুন্দরি বউ বিয়া কইরা ত ভাইগ্নারে ভুইলাই গেছ...কোনও খবরই নাও না...আমি তোমার সাথে রাগ
করলাম ... কথা বলবো না...হুম......
জীনের বাদশাঃ বাজে কথা রাখ...তর উপরে জীনের নজর পড়ছে...তুই যদি জীনের গুপ্তধন চাস তাইলে অমুক দিন , অমুক জায়গায় ১০ হাজার টাকা
রেখে আসবি।
আমিঃ এহহহ...বিয়া করছ তুমি...বউরে লইয়া মজা মারো তুমি...আর তুমার হানিমুন এর টাকা দিমু আমি...কইলেই হইব।
জীনের বাদশাঃফাজলামি করবি না... টাকা না দিলে তর বিরাট ক্ষতি হবে।
আমিঃ আইচ্ছা টাকা দিমুনে...এখন আমার মোবাইলে তাড়াতাড়ি ৫০ টাকা ফ্লেক্সি দাও।
জীনের বাদশাঃ আমার কাছে কোনও টাকা নাই।
আমিঃ লও ঠ্যালা...তুমার কাছে ৫০ টাকা নাই আর তুমি দিবা আমারে গুপ্তধন। এমন ভিখারি মার্কা জীনের বাদশা আজকে প্রথম দেখলাম।
(তখনই জীনের বাদশা লাইন কেটে দিল)
ফলাফলঃ একটু পরে জীনের বাদশার মোবাইল থেকে মেসেজ আসলো,"শালা,তুই বিরাট ফাজিল,তরে থাপড়ানো উচিৎ"
আমিও রিপ্লাই দিলাম,"ডিস্টার্ব দিসনা এখন...তর বউ এর সাথে রঙ ঢং করতেছি...রঙ ঢং শেষ হইলে মিসকল দিমুনে...ততক্ষন পর্যন্ত তুই
মুড়ি না চাবাইয়া গিলতে থাক" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।