৫৬ নং ওয়র্ড বি এন পির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কের্ যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে কুষ্টিয়ার কুমার খালীতে। এখন তাকে নিয়ে সংস্লিষ্ট তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পেশ করবেন তা আমরা জানি। রিপোর্টগুলো কেমন হবে তা আমরা জানি। তবু যারা আন্দাজ করতে পারছেন না তাদের সুবিধার্থে রিপোর্টের নমনা উপস্থাপন করছে আমাদের ভিমরুলের বিষেশ রিপোর্টার আসাদুল্লাহ্।
পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট- মরহুম রফিকুল ইসলামের মৃত্যু অতি সাধারন কারনে ঘটেছে।
তিনি দীর্ঘ দিন যাবত রিদ রোগে ভুগছিলেন। তার হার্টে চার পাঁচটা চেম্বার কয়েক বছর ধরে বস্নক ছিল। এতো দিন যে তিনি বেচে ছিলেন এটাই বিরাট মিরাকল। একজন ব্যাক্তির হার্টে কি করে চারটার অধিক চেম্বার থাকে এবং সব গুলে চ্যাম্বার বস্নক হয়েও এতো দিন কি করে বেঁচে থাকেন তা অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিছিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অচিরেই বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
রাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি-আমাদের একটি টিম সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার প্রস্তুতির সময় জনাব রফিকুল ইসলাম কে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। সরকারের গোপন আস্তানায় নেওয়ার পথে তিনির্ যাবের চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান। র্ যাব ও তার পিছু ধাওয়া করে। রফিকুল ইসলাম দৌড়াতে দৌড়াতে কুষ্টিয়া কুমাড়খালী এসে হাপিয়ে যান। এত লম্বা দৌড়ের ধাকল সইবার মত ফিটনেস তার ছিল না।
অতএব ফিটনেস হীনতাই তার মৃত্যুর কারন বলে মনে করছের্ যাব। এখালে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, তার হাতে হাত কড়া পরা থাকায় দৌড়ানোটা খুব একটা ভাল দেখাচ্ছিল না বিধায়র্ যাব তার হাতকড়া খুলে দেওয়ার জন্যে পিছন পিছন দৌড়াচ্ছিল।
ফরেনসিক রিপোর্ট-মরহুম রফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে কুমিরের কামড়ে। তার শরীরের নানান জায়গায় কুমিরের নখের আচর পাওয়া গেছে। কয়েক জায়গায় পাওয়া গেছে কুমিরের আধভাঙ্গা দাঁত।
কোথাও চাপাতি বা গুলির দাগ মেলেনি। আর দেশে এতো জায়গা থাকতে তার লাশ পাওয়া গেছে কুমার খালীতে, আমাদের রিপের্টের চরম সত্যতা প্রমানের জন্য একটি প্রমান ই জথেষ্ট।
স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স- যের্ যাবের হাতে রফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে তারা কেওইর্ যাবের সক্রিয় সদস্য নয়, অতএব এর দায়ভারর্ যাব বা সরকার নিবে কোন দুক্ষে?
তবে আটচল্লিশ বছরের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করার কড়া নির্দেশ ইতি পুর্বেই দেওয়া হয়েছে
মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট- আইন শৃংখলা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছের্। যাব পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত বিরোধীদল ও সাধারন মানুষ নির্যাতীত হচ্ছে। কেউ নিরাপদ নয়।
বেচেঁ থাকাটাই এদেশে নিরাপদ না।
পর রাষ্ট্রমন্ত্রীর কনফারেন্স- আপনারা যারা মানবাধিকারের কথা বলেন তারা কেন বোঝেন না, আইন শৃংখালা রক্ষাকারী বাহিনীর ও অধিকার আছে বিরোধী দলের উপর নির্যাতন করা ? আপনারা খালি পাবলিকের অধিকারটা দেখবেন কিন্তুশৃংখালা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকার দেখবেন না তা কি হয় ?? আর দেশটা যদি আপনাদের কাছে বসবাসের অ-নুপযোগি মনে হয় তাহলে যান না যেখানে বাসযোগ্য মনে হয় সেখানে চলে যান। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আপনাকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
প্রধান মন্ত্রীর ভাষন- রফিকুল ইসলামের মৃত্যু বি এন পির অভ্যান্তরীন দন্দের ফসল অথবা জামাত শিবির যুদ্ধো অফরাদীর বাঁচানোর জন্যে দেশ ব্যাপি নাষকতার অংশ সরুপ এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। অচিরেই এ খুনিদের জনগন গণ ধোলাই দিয়ে হাতির ঝিলের ময়লা পরিষোধন এর পানি খাইয়ে ছারবে।
জৈনক নাদানের পতিক্রিয়া- মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, ক্ষমতায় এসে আপনি প্রথমেই আপনার বাবার খুনের বিচার করলেন। আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম দেখে। কারন বাংলাদেশে খুনের বিচার আচার তো জাদুঘরে চলে গেছিল। জাদুঘর থেকে তা বাস্ত্মবে ফিরিয়ে আনলেন। আমারা ভেবেছিলাম আজ থেকে বাংলাদেশের সব খুনের বিচার হবে।
আমাদের আশা কোথায় ডুবেছে তা আপনি ভাল করেই জানেন। পিস্নজ আপনি কি মরহুম রফিকুল ইসলাম এর পরিবারকে আশস্ত্ম করতে পারবেন যে তারা তাদের সজন হারানোর বিচার পাবে ?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।