আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪ হাজারেরও বেশি রান। ১০০টি সেঞ্চুরি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অবদান রেখে যাচ্ছেন দলে। এমন একজন ব্যাটসম্যানের বিদায় স্বাভাবিকভাবেই বড় শূন্যতা তৈরি করবে। তবে ভারত সৌভাগ্যবান।
কারণ শচীন টেন্ডুলকার এমন একসময় বিদায় নিচ্ছেন, যখন তাঁর শূন্যতা পূরণ করতে প্রস্তুত বেশ কয়েকটি তরুণ কাঁধ। জাভেদ মিয়াঁদাদ তাই মনে করেন, টেন্ডুলকারকে খুব একটা মিস করবে না ভারত।
মিয়াঁদাদ এ-ও মনে করেন, টেন্ডুলকার আরও বেশি দিন থাকলেই বরং তাঁকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে হয়তো পড়তে হতো। মিয়াঁদাদের নিজের ক্যারিয়ার ছিল দুই দশকের। ৩৯ বছর বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন।
নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকে ‘বড়ে মিয়াঁ’ বলছেন, আরও আগে অবসর নেওয়া উচিত ছিল টেন্ডুলকারের, ‘এই অঞ্চলের সমর্থকদের ধরনটাই এমন, বেশি দিন এক ক্রিকেটার খেলে গেলে বরং ওই ক্রিকেটার অবসর নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে সবাই ভুলে যায়। আমার মতের সঙ্গে হয়তো অনেকেরই মিলবে না। তবে আমাকে স্বীকার করতেই হচ্ছে, আমি মনে করি টেন্ডুলকারের আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল। অবশ্য ও এমন এক সময় বিদায় নিচ্ছে, যে সময় ভারত কয়েকজন অমিত প্রতিভাধর ব্যাটসম্যান পেয়ে গেছে, যারা এখন সমর্থকদের চোখে নায়ক। ’
টেন্ডুলকারের বিদায় নিয়ে তুমুল মাতামাতি হচ্ছে।
মিয়াঁদাদ মনে করেন, এটা টেন্ডুলকারের প্রাপ্য, ‘এটা দেখে ভালোই লাগছে। কারণ এই সব সম্মান আর অভিনন্দন ওর প্রাপ্য। বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে ও অনেক অবদান রেখে গেছে। আধুনিক যুগের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ওর স্থান সুপ্রতিষ্ঠিত। সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের উদীয়মান ক্রিকেটারদের জন্য আমি ওকে আদর্শ হিসেবে অনুকরণ করার পরামর্শ দেব।
’
টেন্ডুলকারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কথা খরচ করা বাতুলতা বলে মনে করেন মিয়াঁদাদ। তবে তাঁর একটাই খচখচানি। টেন্ডুলকার কি অবসর নিতে একটু দেরিই করে ফেললেন? ‘ওর গ্রেটনেস নিয়ে কথা বলার কোনো মানে হয় না। তবে এই উপমহাদেশে আমাদের খেলোয়াড়দের অবশ্যই জানা উচিত বিদায় নেওয়ার সঠিক সময় কোনটা’—বলেছেন মিয়াঁদাদ। ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেই টেন্ডুলকারের বিদায় ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
পিটিআই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।