ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচে অংশ নেওয়ার জন্য শচীন টেন্ডুলকার তখন ছিলেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভারতের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের শেষ ম্যাচটি সশরীরে দেখতে সেখানে হাজির ছিলেন দেশটির গন্যমান্য অনেক ব্যক্তি। আমিরও এর ব্যতিক্রম নন। শচীনের দারুণ ভক্ত ওই অভিনেতা কেবল ম্যাচে উপস্থিত থেকেই ক্ষান্ত হননি, রবি শাস্ত্রি এবং হার্ষা ভোগলের সঙ্গে ম্যাচের এক পর্যায়ে মাইক্রোফোন হাতে কিছুক্ষণের জন্য হয়ে গিয়েছিলেন ধারাভাষ্যকারও।
ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় আমির বলেন, “যে মুহূর্তে আমি এই ম্যাচের খবর পেয়েছি; সঙ্গে সঙ্গেই এই তারিখে আমার সব কাজ বাতিল করে দিয়েছি।
কারণ আমি জানি, কোনো কিছুর বিনিময়েই আমি শচীনের শেষ ম্যাচ মিস করতে চাই না। আমি শচীনের মহাভক্ত এবং বাকি সবাইয়ের মতো আমিও বেশ মনক্ষুণœ ধোনির ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্তে। ”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। টেন্ডুলকারের শেষ ম্যাচে তার ব্যাটিং দেখার জন্য অপেক্ষমান দর্শকদের অনেকেই ধোনির ওই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে অপেক্ষা বাড়লেও আমির জানিয়েছেন, তিনি ঠিকই হাজির থাকবেন টেন্ডুলকারের ব্যাটিংয়ের পুরো সময়।
আমির বলেন, “আমি কাল আবার আসব শচীনের পুরো ব্যাটিং দেখার জন্য। আমি কোনোভাবেই এটা মিস করব না। ”
ম্যাচের প্রথম দিন শেষে দেরি করে স্টেডিয়াম থেকে বের হয়েছেন আমির। দ্বিতীয় দিন দিল্লির এক রেস্তোরাঁয় তার অভিনীত সিনেমা ‘ধুম থ্রি’-এর টাইটেল সং প্রকাশনার অনুষ্ঠান থাকা সত্তে¡ও শচীনের জন্য সেখানে দেরিতে যাবেন বলেই জানান আমির।
অপেক্ষা বাড়লেও ভারতের প্রথম ইনিংসে ওপেনার মুরালী বিজয় আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচের শেষভাগে মাঠে নামেন শচীন।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের সমবেত উল্লাস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের গার্ড অফ অনারের মধ্য দিয়ে ক্রিজে নামেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।