আজ কিছু দিন দেশের কিছুই যেন খুব একটা স্বাভাবিক নয়। সবই কেমন যেন এলোমেলো, অস্থির। আগেও কখনো-সখনো অস্থিরতা ছিল। কিন্তু এখন তা কেমন যেন সংক্রমণের আকার ধারণ করেছে। এক বিরাট মহামারীর রূপ নিয়েছে।
আগেরকার দিনে কলেরা-বসন্তের প্রাদুর্ভাব হতো। যখন তা হতো তখন গ্রামকে গ্রাম সয়লাব হয়ে যেত। কবর দেওয়ার মানুষ থাকত না। কারণ সবই লাশ, কে কার কবর দেবে? লাশ তো আর লাশের কবর দিতে পারে না। পরিশ্রম বাঁচানোর জন্য পাকিস্তান হানাদাররাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অমনটা করত।
লোকজন ধরে নিয়ে তাদের দিয়েই গর্ত খুঁড়ে গর্তের পাশে দাঁড় করে গুলি করে মাটিচাপা দিত। কেন যেন ধীরে ধীরে আমরা পাকিস্তান হানাদারদের সেই নিষ্ঠুরতা, সেই অত্যাচারের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে শুধু দেশীয় দালালদের নিয়ে পড়ে আছি। মাথার খবর নেই, পা নিয়ে টানাটানি।
আমার জীবন এক বিচিত্র ঘটনার সমাহার। ছেলেবেলায় প্রতি পদে পদে পরিবার-পরিজনকে হতাশ করা একেবারে নাদানের শিরোমণি ছিলাম।
৬-৭ বার বাড়ি পালানো, রিকশা চালিয়ে পেটপালা অতিশয় নিম্নপর্যায়ের অধম মানবের একজন আমি। পরম করুণাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহর কি করুণা তিনি আমাকে দিয়ে যেমন রিকশা চালিয়েছেন ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধ করিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে রাজনৈতিক পিতা ও নেতার পদতলে লক্ষাধিক অস্ত্র বিছিয়ে দেওয়ার তৌফিক বা শক্তি দান করেছেন। অনেকেই বাতাসের মতো মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয়েছিল। আবার যাদের শরিক হওয়ার কথা ছিল তারা অনেকেই হননি।
কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম, আজো একইভাবে পড়ে আছি, কোনো বিরাম নেই। গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার পবিত্র আশুরার দিনে সখিপুর উপজেলা মাঠে '৯৯ সালে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক বিশাল জনসভা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রবীণ নেতা, বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, জাসদের আ স ম আবদুর রব অসুস্থ থাকার কারণে যেতে পারেননি বলে তার ছেলে, প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আমাদের সবার প্রিয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার গিয়েছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিল আমার স্ত্রী নাসরীন সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, ইকবাল সিদ্দিকী, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক, বাল্যবন্ধু কবি ও সাংবাদিক সস্ত্রীক সায্যাদ কাদির বাবর। এ ছাড়া বহুদিন পর আমার ছেলেমেয়ে দীপ-কুঁড়ি-কুশি হাজির হয়ে সভার গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এমনিতেই সখিপুর আমার প্রাণ। কেন যেন এখনো সখিপুর গেলে সখিপুরের আকাশে বাতাসে মাটিতে আমার মায়ের মমতা, তার গায়ের ঘ্রাণ পাই। বড় ভালো লাগে সখিপুরের আকাশ-বাতাস, রাস্তাঘাট, তরুলতা, ঘুঘু পাখির ডাক, দুঃখ-কষ্ট-আনন্দ-বেদনা নিয়ে সখিপুরের সঙ্গে মিলেমিশে আমার জীবন। যেদিন আমি প্রথম সখিপুর গিয়েছিলাম, সেদিন কোনো রাস্তাঘাট ছিল না। কিন্তু ঝলমলে আলোকিত প্রাণ ছিল।
পাকা রাস্তা, বিদ্যুতের বাতি, দালানকোঠা, বিদেশে কর্মকাণ্ড নানা প্রতিকূলতা আমার সখিপুরের সেই ঝলমলে প্রাণ গলাটিপে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহর অসীম কুদরতে সখিপুর আবার জেগেছে। আমার ভুল, আমার অক্ষমতা, আমার সবলতা-দুর্বলতা সব তাদের করে আবার তারা তাদের গামছাকে বুকে চেপে ধরেছে। তাই সেদিন বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সব কিছু ছলাকলা করে নিয়ে নিতে পারেন, দখল করতে পারেন কিন্তু সখিপুরের গামছা আপনি কিনতে পারবেন না। গামছা আমার না, গামছা সখিপুর-বাসাইল-টাঙ্গাইলের।
আমাদের গামছার দল কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠীর নয়, এটি সমগ্র দেশবাসীর।
১৭ নভেম্বর ছিল এশিয়ার মুক্তিদূত, ভারত উপমহাদেশের আধ্যাত্দিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, মেহনতি দুঃখী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। হুজুর মওলানা ভাসানী '৭৬-এর ১৭ নভেম্বর যেদিন ইন্তেকাল করেন সেদিন আমি বাঘমারার রংরাতে ছিলাম। বিবিসিতে খবর শুনে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম। আমার জীবনে গভীর কোনো স্বাদ ছিল না।
আল্লাহ না চাইতেই আমায় অনেক দিয়েছেন। স্বাদ ছিল বঙ্গবন্ধুর লাশ কবর দেওয়া, হুজুর মওলানা ভাসানীর কফিন বহন করা। এ দুটি স্বাদ আমার অপূর্ণ থেকে গেছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হন '৭৫-এর ১৫ আগস্ট, তার কবর জিয়ারত করি ১৮ ডিসেম্বর '৯০। সেই কবে '৭৬-এ হুজুর ইন্তেকাল করেছিলেন আর তার কবর জিয়ারত করেছিলাম '৯১ সালের ১৭ নভেম্বর।
এর পর প্রতি বছর কবরে যাই। শুধু মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে নয়, অন্যান্য দিনেও যাই। আলেমা ভাসানী বেঁচে থাকতে আরও বেশি যেতাম। হুজুর মওলানা ভাসানীর সন্তানরা উপযুক্ত হয়নি। তবু তাদের ভালোবাসতাম।
যারা আছে তাদের সম্মান করি, ভালোবাসি। আস্তে আস্তে প্রায় সবাই চলে যাচ্ছে। নাতি নাতকুর যারা আছে তারা অতটা উপযুক্ত নয়, এদের মধ্যে আবু বকর ভাসানীর ছেলে হাসরত ভাসানী কিছুটা কর্মী নিয়ে চলাফেরার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমত হলে হয়তো এক সময় দাদার নাম রাখতে পারে। কিন্তু প্রতিবার মৃত্যুবার্ষিকীতে গিয়ে বড় বেশি আহত হই।
এবারও যে হইনি তা নয়। এবার হুজুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে গামছার বিপুল কর্মী উপস্থিত হয়েছিল। সব দিক থেকে যত লোকজন এসেছিল তার অর্ধেকের বেশি ছিল গামছা। মনে হয় গামছার যেন জোয়ার এসেছে। কিন্তু যখন হুজুরের মাজারে দোয়া পাঠ করেছি, ফাতেহা পাঠ করেছি অনেকেই বাইরে ঘোরাফেরা করেছে।
আসলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কামনার বিষয়টা এখন ক্ষীণ। কেন জানি আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে দয়াময় প্রভুর কাছে ভিক্ষা চাইতে পারি না, দয়া চাইতে পারি না, সাহায্য চাইতে পারি না। জগৎ স্রষ্টার কাছে ভিক্ষা না চেয়ে আমরা অতি ভিক্ষুকের কাছে ভিক্ষা চাই। মাজার প্রাঙ্গণে স্বাভাবিক স্মৃতি অর্পণের কোনো ব্যবস্থা নেই, সব যেন ফ্রি স্টাইল। আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকে না, কোনো ব্যবস্থাও থাকে না।
দুই-আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলাম তাতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে ১০-১৫ জন শ্রমিককে জয় বাংলা জয় বাংলা বলে আওয়াজ তুলতে দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধে যে জয় বাংলা শিহরণ জাগাত সে জয় বাংলা এখন অনেকের অন্তরে সাড়া জাগায় না। মওলানা ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয় না। অন্যদিনের মতো ছেলেমেয়েরা পুকুর ঘাটে গল্প করে।
সরকারি প্রশাসন কোনো খবর রাখে না। এবার নাকি ডিসি বাহাদুর হুজুরের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাতিল করতে চেয়েছিলেন। কারণ জেএসসি পরীক্ষা। জনাবরা ঘুঘু দেখেছেন, ফাঁদ দেখেননি। হরতাল হলে পরীক্ষা পেছানো যায় কিন্তু যার জন্য বাংলাদেশ তার মৃত্যু দিনে পরীক্ষা পেছানো বা স্থানান্তর করা যায় না_ এটা আর বেশি দিন চলবে বলে মনে হয় না।
বহুদিন পর হুজুর মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত টিনের তৈরি দরবার হলে গিয়েছিলাম। সে দরবার হলেরও এক অভিনব ইতিহাস। ১৯৭১-এর ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় হানাদাররা টাঙ্গাইলে ঢুকেই বদিউজ্জামান খান এমপি, আসাদুজ্জামান খান ও আমাদের বাড়ি ধ্বংস করে দেয়। পরদিন গিয়েছিল হুজুরকে গ্রেফতার করতে সন্তোষে। সেখানে হুজুরের বৈঠকখানাসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবার সেই মার্চ-এপ্রিলে হুজুর আমায় ডেকে দরবার হল করার জন্য কাঠ চান। যেখানে যে কাঠ ছিল বিশেষ করে মধুপুর গড়ে সিস করা সব কাঠ তাকে এনে দেওয়া হয়েছিল। খুব উৎসাহ নিয়ে তিনি দরবার হল করেছিলেন। এখন সেটা ধূলিময়লা আবর্জনায় ভরা। অথচ হুজুর মওলানা ভাসানীর নির্মিত দরবার হল বঙ্গভবনের মতো ঝকঝকে তকতকে থাকা উচিত।
সরকারের কত টাকা কতভাবে ব্যয় হয়, যে মানুষটির জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো কিনা সন্দেহ, সেই মানুষটির স্মৃতির প্রতি মর্যাদা দিতে সরকারের এত কৃপণতা কেন? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বা এত উদাসীন কেন?
আগামী কোনো পর্বে হুজুর মওলানা ভাসানীকে নিয়ে কিছু লিখতে চাই। মনে হয় এবার আসা উচিত মন্ত্রিসভার তামাশা নিয়ে। এ ভূখণ্ডের মানুষ এর আগে কখনো রাষ্ট্র পরিচালনা নিয়ে এমন তামাশা দেখেনি। আমি যখন ছোট ছিলাম, গ্রামে ছিলাম, তখন কোনো কোনো লোক বাঙ্রে মধ্যে বাইস্কোপ দেখাত। একটা ঝুনঝুনি হাতে বাঙ্রে পাশে একজন দাঁড়িয়ে থাকত তাতে ৪-৫টা খোপ থাকত।
সেখানে আমরা ছোটরা চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতাম, সামনে ছবি দেখা যেত। ঝুনঝুনিওয়ালা নানা সুরে গাইত, 'কি চমৎকার দেখা গেল, তাজমহল আইসা গেল। তাজমহল চইলা গেল, হাওড়া পুল আইসা গেল। ' আমরা ওতেই আনন্দ পেতাম। বাংলাদেশ কেন, এই উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ জাদুকর পিসি সরকারের অঞ্চলের মানুষ আমরা।
জাদু দেখিয়ে তিনি সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিতেন। ৫০-৬০ বছর আগের কথা। টোকিওতে জাদু দেখাতে গিয়ে সবার ঘড়ির সময় বদলে দিয়ে জাপানিদের অবাক করে দিয়েছিলেন। তার চেয়েও মহাজাদু দেখালেন বর্তমান মহাজোট সরকার। মানুষ এমন ছলনা করতে পারে এটা ভাবাও যায় না।
সকালে এক রকম, বিকালে আরেক রকম, কারও কোনো কথার কোনো স্থিরতা নেই। সবাই চুকিয়ে থাকেন কখন কি বলে বাজিমাত করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক সময় বলেছিলেন, তার সরকারের মেয়াদ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তিনি তার দলের লোকজন নিয়েই ১৮ নভেম্বর সর্বদলীয় সরকার গঠন করেছেন। সেও এক দেখার মতো।
নিজেরা নিজেরাই সর্বদল। মানুষের সঙ্গে প্রতারণারও একটা সীমা থাকে_ এখানে তাও নেই। এতদিন তারা ছিলেন মহাজোট সরকার, গতকাল নাম বদলে রেখেছেন সর্বদলীয় সরকার। এ যেন কানার নাম পদ্মলোচন। এমন দেউলিয়া রাজনীতি এর আগে কেউ কখনো দেখেনি।
গত সোমবার কেবিনেট সেক্রেটারি বলেছিলেন, এটাই শেষ মিটিং। আবার পরশু মিটিং হলো সেখানেও এক চমক দেখলাম, জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের মিটিংয়ে যাননি। জানি না জগৎবিখ্যাত এই খবরের জন্য দেশবাসীর কি করা দরকার। জি এম কাদেরের মাথায় ফুলচন্দন ছিটাতে হবে কিনা বুঝতে পারছি না। পল্লীবন্ধু জনাব এরশাদও খুব একটা কম যান না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমার ভাই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছে। তাই জাতীয় পার্টি এখন আর মহাজোটে নেই। আসলে কি তাই? জনাব জি এম কাদের আদৌ পদত্যাগ করেছেন? নাকি জীবের মরার পর যা হয় তেমন হয়েছে। ১০টা দিন আগেও তার ভাই পদত্যাগ করতে পারতেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন ওসবে কোনো ত্যাগ ট্যাগ হয়নি।
ত্যাগ তখন হবে যখন তিনি করবেন। বাংলা কেন সারা বিশ্বের মানুষ মন্ত্রিসভার এমন পদত্যাগ দেখেনি। সংবিধান থেকে একচুল নড়বেন না। কিন্তু সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট লেখা রয়েছে_
'৫৮। (১) প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন;'
মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার ব্যাপারে আর ডানে-বামে উত্তরে-দক্ষিণে কোনো পথ নেই।
যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রীরা ছবি তুলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সেই মুহূর্তে তাদের পদ শূন্য হয়ে গেছে। তারপর গাড়িতে পতাকা তুলে ঘুরে বেড়ানোর আগলা ফুটানির কোনো পথ নেই। এ জন্য একদিন না একদিন দেশবাসীর কাছে জবাব দিতে হবে। আমার দুর্ভাগ্য ১৫ নভেম্বর ভোট ডাকাতি প্রতিরোধ দিবস পালনের জন্য এলাকায় ছিলাম। সে সময় ঢাকায় থাকলে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়দের রাস্তায় দাঁড় করে গাড়ির পতাকা খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম।
কারণ ওই পতাকা অর্জনে বর্তমান মন্ত্রীদের কোনো ভূমিকা নেই। আমার রক্ত আছে পতাকায়। এমন সংবিধান লঙ্ঘন আর কতকাল দেশবাসী সহ্য করবে? রাজনৈতিক মানুষের কথার ওপর দেশবাসীর আস্থাই হলো রাজনীতির বড় সম্পদ। অনেক দিন থেকেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আস্থা হারিয়েছেন। মহাজোট এবং তার প্রধানমন্ত্রী তিনিও চরমভাবে আস্থা হারালেন।
যে কারণে গত পরশু তারেক রহমান এবং মামুনের মামলার যখন রায় হয় তারেক বেকসুর খালাস শুনেই রাস্তাঘাটে আলোচনা শুরু হয়েছে, এ রায় কি তবে পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্য কোনো সমঝোতা? এর উত্তর আমি জানি না। ভাবিকালই উত্তর দেবে।
লেখক : রাজনীতিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।