আটক জামাল উদ্দিন (৩৪) ফেনীর বাসিন্দা। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসেন তিনি।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মশিউর রহমান মণ্ডল জানান, বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জামাল বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার ব্যাগ তল্লাসি করা হয়। এ সময় তার হাতব্যাগে ৭৫টি সোনার বার পাওয়া যায়।
এসব সোনার বারের ওজন প্রায় আট কেজি বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তা মশিউর।
সম্প্রতি ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বেশ কয়েকটি ‘সোনার চালান’ আটক করা হয়। কখনো বিমানের টয়লেটে, কখনো যাত্রীর ব্যাগে, আবার কখনো যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় সোনার বার বা গয়না।
সর্বশেষ গত সোমবার শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ১২৮টি বারসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আগে গত শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরব থেকে আসা এক যাত্রীর দেহ তল্লাসি করে সোয়া দুই কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়।
গত ১২ নভেম্বর কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের আসনের নিচ থেকে ৩৭ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে মোট ৪১টি সোনার বার আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর শাহজালাল থেকে আটক করা হয় আরো দুটি চালান। ২০ কেজি ওজনের প্রায় ১৬৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয় ওই দুই দিনে।
২২ অক্টোবর দুবাই থেকে ঢাকায় আসা একটি বিমানের টয়লেটে ২৮০টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার ওজন প্রায় ৩০ কেজি।
১ অক্টোবর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে দোহা থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়।
এর ঠিক এক মাস আগে ১ সেপ্টেম্বর একই বিমানবন্দরে চারটি সোনার বার ও ৪১০ গ্রাম ওজনের ৬৯টি চেইনসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত অগাস্টে শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি স্পোর্টস ব্যাগের ভেতরে থেকে ১৮ কেজি ওজনের ১৫৬টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর আগে ২০ অগাস্ট কলকাতাগামী এক ভারতীয় নাগরিকের কাছে সাড়ে সাত কেজি সোনা, আই ফোন ও বিপুল পরিমাণ মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়।
২৪ জুলাই নেপাল থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে ১২৪ কেজি সোনার বার পাওয়া যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে। তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছে পাওয়া যায় প্রায় ১৭ কেজি ওজনের ১৪৬টি সোনার বার।
আর গত ৬ জুলাই ঢাকায় কুয়েত থেকে আসা একটি বিমানে প্রায় ২৫ কেজি সোনার বার পাওয়া যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।