এক নারী সহকর্মীকে হয়রানি করার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভারতের সাপ্তাহিক পত্রিকা তেহেলকার সম্পাদক তরুণ তেজপাল গতকাল বুধবার স্বেচ্ছায় পদ থেকে সাময়িক অবসর নিয়েছেন।
পিটিআইয়ের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গোয়ার পুলিশ তেজপালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বিবেচনা করছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ যা করেছে, তা নিয়েও তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খবরে বলা হয়, তেজপালের এক নারী সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে যে ই-মেইল পাঠিয়েছেন, সেটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তেজপাল গতকাল ছয় মাসের জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। তেহেলকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরীর কাছে পাঠানো ওই ই-মেইলে নির্যাতিত সাংবাদিক অভিযোগ করেন, প্রায় ১০ দিন আগে গোয়ার এক হোটেলে পত্রিকাটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে তেজপাল তাঁকে লিফটের ভেতরে হয়রানি করার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, অভিযোগকারী চাইছেন, পত্রিকাটি ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে তেজপালের শাস্তির বিধান করুক।
রাজনৈতিক, সামাজিক ও জাতিগত অবিচারের বিরুদ্ধে এ পত্রিকাটি সব সময় সোচ্চার থেকেছে। কিন্তু এখন সম্পাদকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে টনক নড়া শুরু হয়েছে।
এদিকে সোমা চৌধুরী বলেছেন, ঘটনার তদন্তের জন্য সময়ের প্রয়োজন। তাঁর এ কথায় নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, তিনি (নির্যাতিত) চেয়েছেন, সে (তেজপাল) ক্ষমা চাক। তা করা হয়েছে। সে পদত্যাগ করেছে। সে (নির্যাতিত) যা চায়নি, তা-ও করা হয়েছে। ’ সোমা বলেন, ঘটনার তদন্তে তাঁরা তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
নারী অধিকার কর্মী ও সাংবাদিকেরা বলছেন, তেজপালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তেজপালকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিকর আজ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনার তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।