ভারতের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘তেহেলকা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। ‘তেহেলকা’র প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির যে অভিযোগ উঠেছে, এর জের ধরে তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে এ কথা জানানো হয়।
সম্প্রতি ‘তেহেলকা’র এক নারী সাংবাদিক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগকারী নারী সাংবাদিকের ভাষ্য, চলতি মাসের শুরুতে পর্যটন নগর গোয়ায় ‘তেহেলকা’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তেজপালের যৌন নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বেলা তিনটার মধ্যে তরুণ তেজপালকে থানায় উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে গোয়া পুলিশ। সেখানে গোয়া পুলিশের অপরাধ বিভাগ তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
অভিযোগকারী নারী সাংবাদিক গতকাল গোয়ার একটি আদালতে হাকিমের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ওই নারীর নিরাপত্তা রক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের আদালতের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গোয়া পুলিশ জানায়, নারী সাংবাদিকের সাক্ষ্যে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
আদালতে তাঁর এ সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে হাজির করা হবে।
যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ওই নারী সাংবাদিক প্রথমে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করেন। তিনি ওই অভিযোগটি তদন্তের জন্য গোয়া পুলিশকে জানালে তদন্ত শুরু হয়। এ ছাড়া তিনি ঘটনার জন্য তরুণ তেজপালকে দুঃখপ্রকাশ করতে বলেন।
তরুণ তেজপাল ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে তদন্তের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
গোয়া পুলিশ ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পর সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে জানায়, যৌন হয়রানির মতো কিছু তারা এতে পায়নি। তবে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ তরুণ তেজপালকে গ্রেপ্তারের উপায় খুঁজছে বলে ডিআইজি ও পি মিশ্র জানিয়েছিলেন।
এর মধ্যে তরুণ তেজপাল যে দুঃখপ্রকাশ করে ওই নারী কর্মীর কাছে ই-মেইল করেছেন, তার কপি এনডিটিভির হাতে পৌঁছায়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে ছয় মাসের জন্য তরুণ তেজপালকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।