আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই নজরানার কি হবে

মত প্রকাশে আপোষহিন।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ছিলেন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় তিনি বিরোধী দলকে দায়ী করে বলেছিলেন, তাদের কর্মীরা স্তম্ভ ধরে নাড়াচাড়া করায় ভবন ধসে পড়েছে। সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সরকারের শীর্ষ পর্যায় তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ জেল থেকে বের হতে মোটা অংকের টাকা খরচ করেন।

এমনকি সকল গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় জেল গেট থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। এছাড়া গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের জন্যও তিনি ছিলেন বিতর্কিত। তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধর করা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিসি ডিএমপি) হারুন অর রশীদকে প্রেসিডেন্ট পদক দেয়ার বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তাকে (ডিসি হুরুন) পদক দেয়ার ক্ষেত্রে ওই ঘটনা বিবেচনায় আনা হয়েছে।

এ ঘটনার পর পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাদ পড়া প্রসঙ্গে একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজের হাতে রাখবেন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর রাখা হয়নি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা থেকে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণয়ের অধীনস্থ পুলিশ প্রশাসন, কারা অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদ মর্যাদার অনেক কর্মকর্তার এখন রাতের ঘুম হারাম। পদোন্নতি ও লাভজনক পদে পোস্টিং পেতে ৫ থেকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত নজরানা দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে পুলিশ প্রশাসন, কারা অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তা।

যাদের টাকার অংক কম ছিল তারা বিষয়টি ভূলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ঘুম হারাম বড় অংকের টাকা নজরানা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের। গতকাল থেকে অনেকেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন টাকা উদ্ধারের জন্য।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.