বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার (জিএসপি) সঙ্গে টিকফা চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম (টিকফা) চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সম্মেলনকক্ষে চুক্তিটি সই হয়। এ বিষয়ে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই হওয়া টিকফা চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছর ধরেই টিকফা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যবিষয়ক আলোচনার জায়গা তৈরির জন্য একটি ফোরাম গঠনের দরকার ছিল। সে ফোরাম গঠনের জন্যই টিকফা চুক্তি করা হয়েছে। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘একক কোনো দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান রপ্তানি গন্তব্যস্থল। সেই দেশে কীভাবে আরও পণ্য রপ্তানি করা যায়, এখন সেই চেষ্টা করা হবে। ’
গত ১৭ জুন বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র।
টিকফা চুক্তির ফলে সেই জিএসপি সুবিধা এখন পাওয়া যাবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকফার সঙ্গে জিএসপির কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় টিকফা ফোরামের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে জিএসপির সুবিধা বহাল রাখার দাবি তুলে ধরা হবে। ’
গতকাল এই চুক্তিটি হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের স্বাগত জানানোর বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানান ।
দেশে সব দলের অংশ গ্রহণের নির্বাচন হবে কি না, এমন বিষয় নিয়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে তখন টিকফা চুক্তি করা হয়েছে কোন বিবেচনায়? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে কোনো রাজনৈতিক বিষয় কাজ করেনি। জনগণের কল্যাণের জন্য এটা করা হয়েছে।
গত ২৭ জুন এটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে, প্রক্রিয়া শেষ হতে এতটা দেরি হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সই হওয়া টিকফা চুক্তির অনুলিপি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা সই হলো
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।