মঙ্গলবার সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটির অনুলিপি প্রকাশের পর সাংবাদিকদের কাছে এতথ্য জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পেতে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
কাদের বলেন, “বাংলাদেশের পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশে আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও আমাদের প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না।
“যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।
টিকফার মাধ্যমে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ”
কবে নাগাদ এ সুবিধা পাওয়া যাবে তা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্দিষ্ট সময় বলে দেওয়া যাচ্ছে না। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে উনারা যখন একমত হবেন, তখনই হবে। ”
দেশের বাম সংগঠনগুলোর বিরোধিতার মধ্যেই সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি’তে (টিকফা) সই করে বাংলাদেশ।
টিকফার ফলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তাছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্যও কয়েকগুণ বাড়বে বলে দুপক্ষই বলছে। তবে বামপন্থী দলগুলো বলছে, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে মেধাসত্ত্ব আইন মানতে হলে বাণিজ্য-বিনিয়োগ যাই হোক- যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানিগুলোর মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ তৈরি হবে। তাতে শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বেশি লাভজনক হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটান ছাড়া সবগুলো দেশসহ মোট ৪৪টি দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রূপরেখা চুক্তি (টিফা) সই হয়েছে।
ফাইল ছবি চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) মাইকেল ফ্রোম্যান বলেন, টিকফার ফলে জিএসপি কর্মপরিকল্পনার মতো বাণিজ্য ও শ্রম বিষয়ে দুদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে এবং বাংলাদেশে শ্রম পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো।
ফাইল ছবি
বাতিল হয়ে যাওয়া জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশ পুনরায় পাবে কী না তা ইউএসটিআরের ডিসেম্বরের শুনানিতে নির্ধারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই এ ধরনের চুক্তি করায় আইনগত কোন সমস্যা আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আইনগত কোনো সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৭ জুন। এটা অত্যন্ত সাদামাটা ‘হারমলেস’ একটা চুক্তি। ”
‘যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার হয় না’- এই প্রবাদ টেনে এক সাংবাদিক জানতে চান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহে আপনারা কেন টিকফা সই করলেন?
জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার হয় না -এটা আমার ফিলসফি না।
আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত রিসোর্সফুল একটি কান্ট্রি। তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ আছে। ”
“এখানে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আসে না। সামরিক কিছু নেই এতে। এটা একটা বাণিজ্য চুক্তি।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।