আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটি মাজার ব্যবসায়ীদের ভাস্কর্য এলার্জি- পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি-৪

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সম্পর্কে আমার ধারণা বরাবরই স্পষ্ট ছিল। এক সময় ছাত্রাবাসে ল্যান কানেকশন আনতে চাইলে স্যাররা বললো " পোলাপান নষ্ট হইয়া যাবে"। এরপরে হলে ইন্টারনেট কানেকশন আনার জন্য স্যারদের কাছে ধরনা দিলে বলা হইতো "ইন্টারনেট দেইখা পুলাপান নষ্ট হইয়া যাবে। পড়াশুনা হবে না। " এখন সেই ইন্টারনেট পকেটে নিয়া পুলাপান ক্লাস করে।

জিপিএ ৪ পায়। বিদাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেরত শিক্ষকরা এইসব কথা বলতো ভাবলে এখন অবাক লাগলেও ইহাই সত্য- উনারা সবাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কারবারি ছিলেন। লোকে উনাদের বুয়েট শিক্ষক বলেন। এদের একদল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। এরা ভাস্কর্য-সেন্সিটিভ।

উনারা ফ্রান্সে হিজরত করার সৌভাগ্য পাইলে বেতমিজ মূর্তির সামনে ফটু খিজবেন। কিন্তু ঘরের সামনে নিরীহ ভাস্কর্য দেখলে তাদের প্লাস্টিকের ঈমান নইড়া যায়। চোখের সামনে মাজারপূজা দেখলে তাদের কোন সমস্যা হয় না। আজিব প্লাস্টিক! মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিছে সিলেটের ওলামা মাসায়েক ও ইসলামী দল---কিন্তু মাজার ব্যবসা বন্ধ করতে উনারা কখনও কাউকে চিঠি/স্মারকলিপি/আল্টিমেটাম দূরের কথা- ফুলের টোকা পর্যন্ত দেন নাই। কারন তাতে ব্যবসার ক্ষতি হয়।

কাবায় মূর্তিপুজারিরাও একই ভয়ে মহানবি(সাঃ) কে ইসলাম প্রচারে বাধা দিসিল। কারন তাতে ব্যবসার ক্ষতি হয় পরে বুঝলাম এলার্জিটা ভাস্কর্যে না, এলার্জি মুক্তিযুদ্ধে। কারন ভাস্কর্যের নাম "মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য" ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।