ব্লগার
খুব সকালে উঠে সোনালী ব্যাংকের বুথে চলে গেলাম শুনেছি ভীড় হবে তাই। সাধারন পাসপোর্টের জন্য ৩০০০/- এবং জরুরী পাসপোর্টের জন্য ৬০০০/- টাকা জমা দিতে হয়। আমার আগে অনেকেই সেখানে উপস্থিত, অগত্যা দাড়িয়ে গেলাম। যেহেতু অফিসের কাজে আমাকে সিঙ্গাপুর যেতে হবে খুব বেশি সময় হাতে নেই। তাই জরুরী পাসপোর্টের জন্য ৬০০০/-টাকা হাতে নিয়ে কাউন্টারে পৌছালে আমাকে জানানো হলো আরো ২০/- টাকা দেন, দিলাম(এই ২০/-টাকার কোনো রশিদ আমাকে ভদ্রলোক দেননি)।
স্লিপ নিয়ে প্রায় দৌড়ে দৌড়ে চললাম পাসপোর্ট অফিসের দিকে। ওখানেও নাকি দীর্ঘ লাইন পার হয়ে- আপনি ঠিকঠাক ফর্ম পূরণ করেছেন কিনা সেটা দেখা হয়। চুন থেকে পান খসলেই ওনারা ফর্মটি ছুড়ে মারছেন এবং গ্রাহককে বলছেন ঠিক করে আনতে। বিশাল লম্বা লাইন দেখে আমি একটু পাশে দাড়িয়ে এই কান্ড দেখছিলাম আর চিন্তা করছিলাম-অফিসে যেতে হবে ১২টায় এখন ১১টা বাজে লাইনে দাড়ালে ২টার আগে বের হতে পারবো না, অফিসে যেতে যেতে প্রায় ৪টা। চলে গেলাম ওপর তলায়।
কোন একজনকে আমার সমস্যার কথাটি খুলে বললাম। তিনি আমাকে বললেন কোন ব্যাপার না আপনি ১০ মিনিট বসেন, ২০ মিনিটের মধ্যে আপনার সব কাজ হয়ে যাবে তবে ১৫০০/- টাকা দিতে হবে। আমি খুব অনুনয় করে বললাম ১০০০/- টাকাতে করে দিতে, তিনি রাজি হলেন না। বললাম- ঠিক আছে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম সত্যি সত্যিই ২০ মিনিটও লাগলো না সব কাজ শেষ করে আমাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে বরোতে।
স্যরি, এই ১৫০০/- টাকারও কোনো রশিদ আমার কাছে নেই।
তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মতো বলতে চাইনা কি করলে সমস্যার সমাধান হবে। শুধু বলতে চাই আমাদের মতো আমজনতাদের নীতি নির্ধারকেরা কি সুন্দর ম্যাংগো বানিয়ে চলছেন।
সাকূল্যে, আমার পাসপোর্ট বানানো বাবদ খরচ ৭৫২০/- (যাতায়াত বাদে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।