আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
রাজধাণীর আন্দোলন জমে না ক্যান? নেতারা ঘর থেকে বাইর হন না। সবাই ফেসবুকে লেখেন। ফটো ও ভিডিও সম্বাদিক ডেকে বিক্ষোভ করেন, আবার পালিয়ে যান।
কারণ কি? কারণ এটাই লাইফের রিস্কটা কেউ নিতে চান না। সবাই মাখখণ খাইতে চান। অন্যের মাখখন খাইবার লাগি আমি কেন জীবন বাজি রাখবো।
আসল কথা হইলো আদর্শিক জায়গা এইখানে খুবই দূর্বল। তার ওপর নিপীড়ন- গুলি।
এই সব মিলিয়া আন্দোলন জমিবার সুযোগ দেখছি না। কর্মীদের উদ্দীপ্ত করার মত ভাষন নেই। আশা নেই। আলো নেই। কর্মসূচী নেই।
মুখস্থ কথা বলে তো আর আন্দোলন জমে না রে পাগল।
গ্রামে গঞ্জের মানুষ ক্ষিপ্ত। তারা সাহস করে। কারণ তার হারানোর কিছু নেই। কিন্তু রাজধানীর নেতাদের হারানোর অনেক কিছু আছে।
ক্ষমতায় থাকলে পকেটের স্বাস্থ্য ভালো হয়, ব্যাংক ব্যালেন্স শক্ত হয়। এসি গাড়ি আর ফ্ল্যাট হয়। চিকনাই জমে। ৫ বছর যে গুলো জমেছে সে গুলো গলতে গলতে আবার ক্ষমতায়। তাই ক্ষমতার চক্করে দিন যায়।
সুতরাং ক্ষমতার স্বাদ নিতে হইলে হাঙ্গামা কইরা লাভ নাই। জিহ্বায় শান দাও সবাই। লোল..।
টাকা দিতে চায়- সবাই। কিন্তু মিছিলে যেতে চায় না।
একজন সেদিন এমনটা জানালেন। বিত্ত বাড়লে জানের মায়া বাড়ে, জানের মায়া বাড়লে আন্দোলন জমে না। যারা মারা পড়ছে বা পড়েছে তারা ফাঁকে তালে পড়ে, রাজধানীর বাইরে।
তবে স্মরণে আসে- চারদলীয় চেজাট সরকারের শেষ দিকে আওয়ামী লীগের লোকবল কম দেখা গেছে, রাজপথে। অনেকেই বলেছেন তারা হারিয়ে যাবেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত একথা সত্য হয়নি। এখন বিএনপি নিয়া যারা শঙ্কিত- তাদের এ কথাও সত্য হবে বলে মনে লয় না। যাই হোক ক্ষমতার স্বাদ তারা দুই প্রধান দলও তাদের চাটুয্যেরা নিক, তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসেন না। শুধু পাবলিকরে লইয়া পলিটিক্স না কইরলেই হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।