হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারকে আজ মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়েছে।
৪১ বছর বয়সী কাম্বলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ২০০৯ সালে। এর প্রায় এক দশক আগে থেকেই অবশ্য অবসরে ছিলেন তিনি। কাম্বলি ভারতের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ১৯৯৫ সালে।
তাঁর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাটা ২০০০ সালের।
১৯৯১ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া কাম্বলি ১০৪ ওয়ানডেতে দুই হাজার ৪৭৭ রান করেন। সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। ১৭ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ এক হাজার ৮৪ রান। টেস্টে চার সেঞ্চুরির মধ্যে দুটিই ডাবল।
ক্রিকেট বিশ্বে কাম্বলি বিখ্যাত হয়ে আছেন ১৯৮৮ সালে স্কুল ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ৬৬৪ রানের জুটি গড়ার জন্য। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেটি ছিল যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ জুটি। তিন দিনের ম্যাচের ঐতিহাসিক ওই ইনিংসে কাম্বলি অপরাজিত থাকেন ৩৪৯ রান নিয়ে। আর লিটল মাস্টার অপরাজিত থাকেন ৩২৬ রান নিয়ে।
কৈশোর থেকে কাম্বলি-টেন্ডুলকার ছিলেন মানিকজোড়।
একই শহরে থাকলেও তাঁদের মধ্যে যেন এখন মহাসাগরের দূরত্ব। সাত বছর ধরে দুজনের দেখা নেই। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার দিনে দীর্ঘ পথচলার সঙ্গীদের প্রায় সবারই নাম একে একে বলেন টেন্ডুলকার। বলেননি শুধু কাম্বলির নাম। বিদায়ী অনুষ্ঠানে ছেলেবেলার বন্ধুকে আমন্ত্রণই নাকি জানাননি লিটল মাস্টার।
টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর নিজের কষ্টটা আর লুকিয়ে রাখতে পারেননি কাম্বলি, ‘ওর বিদায়ী ভাষণটা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। সে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছে। সতীর্থ, পরিবার, সবাইকে। কিন্তু সে মনে হয় একজনের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল। সেই একজন আমি।
আমি ওর খুব কাছের মানুষ ছিলাম। অনেক দিন শচীনের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এটা আমাকে খুবই পীড়া নেয়। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।