পছন্দের লোকদের ‘ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ-নেতারা। কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা এ কথা জানান।
কর্মকর্তারা জানান, এখন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। কিন্তু দলীয় ও ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী অবৈধ প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন। এ নিয়ে তাঁরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) খসড়া তালিকা তৈরি করতে হয়। সে অনুযায়ী কমিশন ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে অনেক জেলা প্রশাসক এ কাজটি যথাসময়ে করতে পারেননি। বিধিমালা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ওই তালিকা কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হয়। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর এসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নিয়োগ শেষে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গতকাল কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে জানা গেছে, জেলা থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা এখনো আসেনি। বেশির ভাগ জেলা থেকে কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।
কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, এসব বিষয়ে এখনো কমিশনে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
প্রয়োজনে বিতর্কিত লোকদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
কমিশন সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ৩৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রে সাড়ে ছয় লাখের মতো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কেউ টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রতিষ্ঠানের বিলখেলাপি কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।