বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তির যুগে ওয়েবসাইটের ভুমিকা অপরিহার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রেও বিভিন্ন তথ্য ও সেবার জন্য আমাদের বিভিন্ন ওযেবসাইট ব্যাবহার করতে হয়। এসব তথ্য পাওয়ার জন্য স্বভাবতই ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে হয়। বেশ কয়েক বছর আগেও ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যাবহার হতো। কিন্তু স্মার্টফোন প্রচলনের পর থেকে ওয়েব এক্সেস আরও সহজতর হয়ে যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার ডিভাইসের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যাবহার করা যায়। এসব বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজের ডিভাইস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট দেখলে ওয়েবসাইটটি ভা্ঙা ভাঙা মনে হতে পারে কারন একটি ওয়েবসাইট যে স্ক্রিন সাইজ এর জন্য তৈরি করা হয় তার তারম্য ঘটলে সাইটটিকে ঠিকমত দেখা য়ায় না। এর জন্য আগে মোবাইলে সাপোর্ট এর জন্য সাইটের মোবাইল ভার্সন আলাদাভাবে তৈরি করতে হতো। কিন্তু বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ও ট্যাব এর স্কিন সাইজ ভিন্ন হওয়ায় সেখানেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো। অবশেষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হলো রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে।
রিস্পন্সিভ ডিজাইনের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটকে সহজেই বিভিন্ন ডিভাইস উপযোগী করে তোলা যায়। আবার এর জন্য আলাদা কোনো ভার্সন বা সার্ভার এর প্রয়োজন পরে না। রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে একজন ওয়েবসাইট ভিজিটরের স্বাচ্ছন্দ অনেকাংশে বেড়ে যায় কারন সাইটটিকে আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা মনে না হয়ে পরিপূর্ন ওয়েবসাইট ব্যাবহারের সুবিধা পাওয়া যায়।
রিস্পন্সিভ ওয়েবসাইটের এই সকল সুবিধার কথা বিবেচনা করে সকল ওয়েবসাইটের মালিকই চান তার ওয়েবসাইটটিকে রিস্পন্সিভ করতে কারন একটি ওয়েবসাইট যত ডিভাইসে ভালোভাবে দেখা যাবে ওয়েবসাইটটিতে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। এ কারনে মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন রিস্পন্সিভ ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট এর কাজ সহ পুরাতন ওয়েবসাইটকে রিস্পন্সিভ করার কাজ জমা পড়ছে।
এসব কাজের রেট অনেক বেশি। যে কোনো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কাজ রয়েছে অসংক্ষ্য এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ তার সাথে যোগ হচ্ছে। প্রতিনদনই সারা বিশ্বে অনেক নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তাই এই কাজের কোনো শেষ নেই। রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপমেন্ট সেক্টরে কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। এ কারনেই ক্যারিয়ার হিসেবে রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপিং হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
বাংলাদেশের অনেক তরুন ওয়েব ডেভলপার ইতিমধ্যেই রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপমেন্ট এ অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সাক্ষর রেখেছেন এবং সফলতার সাথে কাজ করে চলছেন। কিন্তু এর পরিমান আমাদের দেশের জনসংক্ষার চেয়ে অনেক কম।
তাই যারা একটা ভাল ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকল রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন শিখে ফেলার। বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক আসার পর একটা সাইটকে রেসপনসিভ করা আরো অনেক সোজা হয়ে গেছে এখন। রেসপনসিভ ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আগের লেখাটি পড়ে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।