সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০১২’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সম্ভবত হেফাজতের বিশাল আন্দোলন ও বৃহৎ সমাবেস অল্প সময়ে দমন ও নিষ্ক্রিয় করাকে মার্কিনিরা প্রসংসনিয় হিসেবেই দেখেছে।
কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সভাপতি ও কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে প্রশংসা করতে দেখা যায়।
কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অন্য এক চিঠিতেও তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে আপনার পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। '
গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং গত ২২ নভেম্বর তারিখে লেখা চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাস দমনে আপনার সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা জেনে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সন্ত্রাস দমনের চাবিকাঠি। '
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের তত্পরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতা উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ দমনে এ অঞ্চলের এক প্রভাবশালী অংশীদার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ও আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এতে আন্তদেশীয় সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে তত্পরতা চালানো বা এখানে নিরাপদ আস্তানা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে নাগরিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি সারমর্ম দেওয়া হয়েছে।
এরপর আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ ও সীমান্তনিরাপত্তা; জঙ্গি অর্থায়ন রোধ; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমন—এ চার অধ্যায়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন অধ্যাদেশ ২০০৯’ বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রয়োগের পথে এগোচ্ছে। তবে সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে বিচার-প্রক্রিয়ার অগ্রগতি বেশ ধীর। বাংলাদেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সহযোগীদের নিয়ে বাংলাদেশ ২০১২ সালে ন্যাশনাল একাডেমি ফর সিকিউরিটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠা করে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশিক্ষণ চালু করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ‘পারস্পরিক আইনি সহায়তা’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যা সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে। এ ছাড়া, অপরাধের তদন্তের তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমনে শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ ধর্মীয় নেতাদের উগ্র বাণীর বিরুদ্ধে এক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কথাও বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের।
Click This Link
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।