আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বহিস্কারের ভয়ে মির্জা ....

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দল থেকে বহিস্কারের ভয়ে পদত্যাগ করেছেন। [IMG|HTTPS://FBCDN-SPHOTOS-B-A.AKAMAIHD.NET/HPHOTOS-AK-PRN2/1468549_10153533250845099_237676540_N.JPG] আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দলীয় প্রধানের কাছে ফখরুলের পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার বিষয়টি জানা গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত সেই পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘ আজ ২ ডিসেম্বর ২০১৩ সাল। বিএনপিতে আমার শেষ দিন।

সুদীর্ঘ ২৪ বছর বিএনপিতে আমার পদচারণার অবসান। আশা করেছিলাম আপনি সংলাপের ডাক দিয়ে ভয়াবহ পরিণতি থেকে জাতিকে পরিত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন। তা আর হয়ে উঠল না। সহিংসতাতেই চলে যাচ্ছে দেশ। দেশ জাতি প্রতক্ষ্য করবে আরও রক্তক্ষয় আরও জ্বালাও পোড়াও আরও ধ্বংসলীলা আরও লাশ, গুম হত্যা।

বিএনপির তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্বাচনমুখী অথচ আপনি নিজের ও পারিবারের কথা বিবেচনায় এনে সরকারের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখছেন। বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না দেয়ার মধ্য দিয়ে আমার প্রত্যাশিত সংলাপের আহ্বান ব্যর্থ হওয়ায় আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করছি। আমি ভেবেছিলাম বিএনপি ছাড়তে আমাকে বাধ্য করবেন না কিন্তু ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। আশাকরি আপনি পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে দলের সব কর্মকাণ্ড থেকে আমাকে অব্যাহতি দেবেন। ’ সুত্র বেগম জিয়ার ঘোষণার অবমাননাঃ কার নির্দেশে মির্জা ফখরুল আশরাফকে ফোন করলেন? Fakhrul-and-Ashrafশেখনিউজ রিপোর্টঃ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের সাথে আপোষ না করার ঘোষণা দেয়ার একদিন যেতে না যেতেই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির তার সরকারী প্রতিপক্ষকে টেলিফোন করলেন।

আপোষহীন নেত্রীর আপোষহীন ঘোষণার পর পরই আপোষের এই প্রচেষ্টা বেগম জিয়ার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। এই টেলিফোন প্রচেষ্টাকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী উদ্যোগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন মামলার বিচারে রায় প্রকাশের পূর্বক্ষণে বিএনপির আপোষের চেষ্টা বলেও জনমনে ধারনা জন্মেছে। এতে রাজনীতিবিদ হিসেবে তারেক রহমানের অবস্থানকে নাজুক করে ফেলেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে এই ধরনের যোগাযোগের প্রচেষ্টার সাথে বেগম খালেদা জিয়া কোনভাবেই সম্পৃক্ত নন। বিএনপি’র একটি শক্তিশালী গ্রুপ যারা সর্বোতভাবে আন্দোলন থেকে যে উপর মহলের নির্দেশে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছেন, সেই উপর মহলের নির্দেশেই মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের সাথে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেই শুধু ক্ষান্ত হলেন না, তা আবার মিডিয়ায় প্রকাশও করে দিলেন।

এই বিষয়টি বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন ভুমিকাকে প্রশ্নের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপিতে বেগম জিয়ার কর্তৃত্ব কি হুমকির মুখে পড়েছে? দলের ভেতরে কি কোন গ্রুপ বেগম জিয়ার দেশপ্রেমিক ভুমিকাকে কলংকিত করার চেষ্টা করছে? মির্জা ফরখরুল কি সেই রকম কোন গ্রুপের সাথে জড়িত? কার নির্দেশে মির্জা ফখরুল এই টেলিফোনটি করলেন? তারেক রহমানের মামলায় রায় প্রকাশের আগের দিনে মির্জা ফখরুলের টেলিফোনে এই চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে টেলিফোনে ‘পাচ্ছেন না’ জানিয়ে সংলাপের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। কিন্তু এ বিষয়ে আশরাফ বলেন, “আমার কাছেও ওনার নম্বর সেভ করা আছে। তবে সেভ করা সেই নম্বরটি থেকে আমার কাছে কোনো ফোন আসেনি। আমি জনসম্মুখে ওনার নম্বর প্রকাশ করতে চাই না।

” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে যোগাযোগ হয়েছে। তবে তার ফলাফল পেতে তারেক রহমানের মামলার রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সুত্র

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।