আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূর্তিপূজা হারাম

অকিঞ্চন জন আমার একবন্ধু ছবি তোলার সময় প্রায়ই নিস্প্রিহ থাকত। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলত, "না রে ভাই ছবি টবি তুলিও না, যদি কোন দিন কেউ আবার পূজা করা শুরু করে!" সরল বিশ্বাসে এইসব বলত বন্ধু বলে তাকে এ নিয়ে কিছু বলি নাই, একে তো খুবই ভদ্র ছেলে, কারো সাতে পাঁচে নাই, তার উপর ধার্মিক। ভেবেছি সে একদিন নিজেই বুঝবে। মনে মনে বলতাম, আগে তোমার নিজের উপর এই বিশ্বাস আছে কি না বল যে তুমি পূজার যোগ্য। মানুষ পূজা করে ফল লাভের আশায়।

তোমাকে পূজা করলে তুমি কি ফল দিবে আর যারা পূজা করবে তারাই বা কোন ফলের আশায় পূজা করবে? উত্তর হল- মাকাল ফল। (এই জায়গায় হাসতে পারেন ) আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যারা মূর্তি দেখলে ভাবে এটা পূজা করার জন্য। স্কুল কলেজে ভাষ্কর্য বানাতে দেখলেই তাদের পূজাভীতি ও ধর্মানুভুতি জেগে উঠে। শাবিপ্রবির ৫১ জন শিক্ষক মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে, সরি, মুক্তিযুদ্ধের মানব ভাষ্কর্য বানানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন । (এই জায়গায় এসে ভেবে দেখুন আপনার দ্বারা হাসা সম্ভব কিনা) আমি অবাক হইনি।

আমার চারপাশেই এরা আছে। এরা সবাই প্রচলিত অর্থে ধার্মিক। এই ৫১ জনের অনেকে ডক্টরেট, অনেকে তাদের ব্যাচের সেরা ছাত্র। এদের আপনি সরাসরি শিবির বলতে পারেন না। অনেকে শিবির করে না।

কিন্তু অনেকে ওইরকম। মাঝে মাঝে অবাক লাগে, তবুও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল! নইলে আজ পাকিস্থানের অবস্থাই হত। এরচেয়েও করুণ অবস্থায় থাকতে পারত এই ভুখন্ড। কারণ বাংলাদেশকে ওরা উপনিবেশের মত ট্রিট করত। তখন কি ধর্মানুভুতি দেশকে এগিয়ে নিত? অথবা নিচের ছবির মত যে হত না তার কোন গ্যারান্টি নেই।

ছবির ডান পাশের লোকেরা পাকিস্থানি। আজ পাক্ষিস্থান আরো দুইখন্ড হবার দ্বার প্রান্তে। এখন কোথায় ধর্মের ভাইয়েরা? কোথায় বেলুচিস্থানের কসাইয়েরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ করেছিল? আজ বেলুচরাই নিজেদের স্বাধীনতা চাইছে। বিঃদ্রঃ ভাষ্ক্রর্যে পুষ্প দানকে লৌকিক অর্থে পূজা করা বলে না, তবে অন্তরের পূজা(শ্রদ্ধা জ্ঞাপন) বলতে পারেন। (উদাহরনঃ 'স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান পূজ্যতে সর্বত্র') ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।