ভারতে বাঁদর ধরার একটা বৈজ্ঞানিক ও সহজ পদ্ধতি আছে। এইটা এতই সহজ যে, কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না।
ছোট একটা ফাঁদ করা হয়, যার ভিতরে বাদাম দেওয়া থাকে। আর এই ফাঁদে দুইটি দন্ডের মাঝে দূরত্ব এতই কম যে- এর মাঝে দিয়ে বাঁদরের শুধু খালি হাত প্রবেশ করবে। বাঁদর বাদাম নেওয়ার জন্য খালি হাত ফাঁদে ঢুকিয়ে বাদাম মুষ্টি বদ্ধ করে নেয়।
কিন্তু মুষ্টি বদ্ধ হাত তো আর বের করতে পারে না। সে অনেক ধস্তা-ধস্তি করে কিন্তু হাত আর বের করতে পারে না। ঠিক ওই সময় ফাঁদ প্রদানকারী বাঁদরটিকে ধরে গেলে। কিন্তু দেখুন সে যদি বাদাম গুলো ফেলে দিতো তবে খালি হাতে দিব্বি বের হয়ে আসতে পারতো। মূল টেকনিকটা আসলে এইখানেই- "বাঁদর বাদামের মায়াও ত্যাগ করতে পারে না, তাই অবলীলায় ধরা পড়ে"
মূল কথায় আসি, দেখুন তো এই বাঁদরের সাথে আমাদের বর্তমান রাজনীতির কোন মিল আছে কি না?
===> হাসিনা যখন খালেদাকে ফোন করলো, তখন উনি যদি হরতাল প্রত্যাহার করে সংলাপে বসতেন তাহলে কিন্তু দিব্বি ঘটনা পাল্টে যেত পারতো।
কারণ তখন সরকারের নানাবিধ কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত। কেউ কেউ বলেন প্রায় ৮০% মানুষ এন্টি-আওয়ামীলীগ ছিল। কিন্তু ওই যে বাঁদরের মত বাদামের মায়া ত্যাগ করতে পারলেন না। সুতরাং ফলাফল সবাই দেখতে পারছেন।
===> আবার যখন চারিদিকে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, প্রতিদিন খবর আসছে ৯-১২ মানুষ মারা যাচ্ছে।
তখন যদি শেখ হাসিনা শুধু-মাত্র নিজের পজিশন চেঞ্জ করতেন, তাহলেই কিন্তু সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগকে আবার নির্বাচিত করতেন। কারণ সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। কিন্তু তা তো হবার নয় "ওই যে বাদাম পিরিতি"!!!
এই বাদাম পিরিতের জন্য- মনির, মোজাম্মেল, নাহিদ, রবিনের প্রাণ গেল।
এদের প্রাণ যাক তাতে কি? নেত্রীরা তো নিরাপত্তায় আছেন। থাকেন আপনারা নিরাপদের থাকেন।
আর বেশি বেশি করে বাদাম পিরিতি দেখান- আপনারাই সুযোগ করে দেন মজিনা ফায়ারফক্স, আর পঙ্কজ দেবের বেটা নাট-বল্টুদের।
প্রিয় নেত্রীরা একবার চিন্তা করেন তো মনির, মোজাম্মেল, নাহিদের জায়গাতে যদি জয়, তারেক, কোকো'র নাম থাকতো????????????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।