বিবিসি জানিযেছে, মঙ্গলবার রাতে নাসারাল্লাহ লেবাননের ওটিভি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ওই হামলার সঙ্গে সৌদি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত।
১৯ নভেম্বর চালানো ওই জোড়া আত্মঘাতী হামলায় ২৫ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ইরানের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি শেখ ইব্রাহিম আনসারিও রয়েছেন।
বৈরুতে হিজবুল্লার শক্তঘাঁটির কাছেই অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী আব্দুল্লাহ আজ্জাম বিগ্রেড।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হিজবুল্লাহ ও এর পৃষ্ঠপোষক ইরান দেশটির শিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অপরদিকে সুন্নি সৌদি আরব দেশটির সুন্নি বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে নাসারাল্লাহ বলেন, “আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠী আব্দুল্লাহ আজ্জাম বিগ্রেডের একজন আমির আছেন এবং তিনি সৌদি নাগরিক।”
তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন গোষ্ঠীটির সঙ্গে সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক আছে।
“সিরিয়ায় ইরানের বিপক্ষে সৌদি আরবের ব্যর্থতাজনিত ক্ষুব্ধতার সঙ্গে হামলাটির সম্পর্ক আছে” বলে দাবি করেন নাসারাল্লাহ।
সৌদি আরব ইরানি দূতাবাসে হামলার নিন্দা জানিয়েছিল, তবে হিজবুল্লাহ প্রধানের অভিযোগের বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।