দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যেসব বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছেন, তা ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ এবং যুগ যুগ ধরে মানুষকে প্রেরণা দেবে। ১৯৯০ সালে কারামুক্তির পর কেপটাউনে এবং ১৯৯৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেওয়া তাঁর বক্তৃতার ভাষান্তর প্রকাশ করা হলো
কেপটাউন, ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০
বন্ধুরা, কমরেডরা এবং আমার সহযাত্রী দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ। সবার জন্য শান্তি, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার নামে আমি আপনাদের সম্ভাষণ জানাচ্ছি। আমি এখানে আপনাদের সামনে কোনো ভবিষ্যদ্বক্তা হিসেবে দাঁড়াইনি, দাঁড়িয়েছি আপনাদের, দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের সেবক হিসেবে। আপনাদের অবিরাম বীরত্বপূর্ণ ত্যাগ স্বীকারের ফলেই আমার পক্ষে আজ এখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আমি তাই, আমার জীবনের বাকি সবটুকু সময় আপনাদের হাতেই সমর্পণ করছি।
আমার এ মুক্তির দিনটিতে আমার আন্তরিক উষ্ণ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার লাখ লাখ সহযোদ্ধা এবং তাঁদেরও, যারা বিশ্বের সর্বত্র আমার মুক্তির জন্য অবিশ্রান্ত প্রচারণা চালিয়েছেন। আমার বিশেষ সম্ভাষণ প্রেরণ করছি কেপটাউনের জনগণের উদ্দেশে, এ নগরে আমার তিন দশকের বাসস্থান। আপনাদের গণমিছিল এবং অন্যবিধ উপায়ে পরিচালিত সংগ্রাম সব রাজনৈতিক বন্দীর জন্যই নিরন্তর শক্তি-সাহসের উৎস ছিল।
আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেসকে (এএনসি) আমি অভিবাদন জানাচ্ছি।
আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সংগঠনটি আমাদের সব প্রত্যাশাই পূরণ করছে। আমি আমাদের প্রেসিডেন্ট কমরেড অলিভার টাম্বোকে অভিবাদন জ্ঞাপন করছি, তিনি চরম বিরূপ পরিস্থিতিতেও এএনসির নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। এএনসির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আমি অভিবাদন জানাই। আপনারা আমাদের সংগ্রামের মহান কাজে প্রাণ দিয়েছেন, অঙ্গহানি মেনে নিয়েছেন। উমখন্তো উই সিজ উইর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আমি সালাম জানাই।
সলোমন মাহলাঙ্গু এবং অ্যাশলি ক্রিলের মতো প্রতিরোধ যোদ্ধারা সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের মুক্তির সংগ্রামে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার কমিউনিস্ট পার্টিকে আমার সালাম, গণতন্ত্রের সংগ্রামে দলটি মহার্ঘ অবদান রেখেছেন। আপনারা সুদীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অবিশ্রান্ত নির্যাতন সহ্য করেছেন। মোজেস কোটানে, ইউসুফ দাদু, ব্র্যাম ফিশার এবং মোজেস মাভিদার মতো মহান কমিউনিস্টদের স্মৃতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অম্লান থাকবে। আমি সাধারণ সম্পাদক জো স্লোভোর প্রতি অভিবাদন জানাচ্ছি, তিনি আমাদের মহত্তম দেশপ্রেমিকদেরই একজন।
এ তথ্য আমাদের উল্লসিত করছে যে, আমাদের এবং পার্টির মধ্যকার সম্পর্কটি বরাবরের মতোই সুদৃঢ় থাকবে।
‘ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’, ‘ন্যাশনাল এডুকেশন ক্রাইসিস কমিটি’, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার যুব কংগ্রেস, ট্রান্সভাল এবং নাটালের ভাতীয় কংগ্রেস এবং কসাটো এবং জন-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অপরাপর সহযোগী সংগঠনকে আমার অভিবাদন জানাই। আমি ‘ব্লাক স্যাশ’ এবং ‘ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সাউথ আফ্রিকান স্টুডেন্টস’কেও সালাম জানাচ্ছি। আমরা গৌরবের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, আপনারা দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জনগণের বিবেক হিসেবে কাজ করেছেন। আমাদের সংগ্রামের ইতিহাসের অন্ধকারতম দিনগুলোতেও আপনারা স্বাধীনতার পতাকা সমুন্নত রেখেছেন।
বিগত কয়েক বছরের ব্যাপক গণ-যুদ্ধের উদ্যোগ আমাদের সংগ্রামের শেষ পর্যায় শুরুর ক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠির ভূমিকা পালন করছে।
আমাদের দেশের শ্রমজীবী জনগণকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি আমাদের আন্দোলনের গর্বের বস্তু। শোষণ ও নির্যাতন অবসানের সংগ্রামে আপনারাই ছিলেন সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য শক্তি। বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি আমি শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি, যখন আমাদের জনগণের সংগঠনসমূহকে নীরব করে ফেলা হয়েছিল, তখন তাঁরাই বিচারের দাবিতে প্রচারণা এগিয়ে নিয়েছেন।
আমি এ দেশের ঐতিহ্যবাহী নেতৃত্বের স্মৃতির প্রতি অভিবাদন জানাচ্ছি—এখনো আপনারা অনেকেই হিন্টসার মতো এবং সেখুখুমির মতো মহান বীরদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছেন। সীমাহীন বীরত্বের জন্য অভিবাদন জানাই যুবকদের, তোমরা সিংহ বিক্রম যুবকেরা, সমগ্র সংগ্রামেরই শক্তি জুগিয়েছ। আমাদের জাতির ঘরে ঘরে মা, স্ত্রী ও বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আপনারাই হচ্ছেন আমাদের সংগ্রামে প্রস্তর-দৃঢ় ভিত্তি। বর্ণবাদ অন্য যে কারও চেয়ে আপনাদের ওপরই অধিকতর বেদনাময় আঘাত দিয়েছে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি বিশ্বসমাজকেও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামে তাদের মহান অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমাদের সংগ্রাম এতটা অগ্রসর অবস্থানে পৌঁছতে পারত না। যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া প্রদেশগুলো যে চরম ত্যাগ স্বীকার করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ সে কথা চিরকাল স্মরণ রাখবে।
আমার প্রিয় পত্নী এবং পরিবারের কথা গভীর প্রশংসায় উল্লেখ না করে আমার এ প্রশস্তি-কথন শেষ হতে পারে না, কারণ, সুদীর্ঘ এবং নিঃসঙ্গ কারাজীবনে তাঁরাই আমাকে নিরন্তর শক্তি জুগিয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা আমার চেয়েও অধিকতর দুঃখ-বেদনা বহন করেছেন।
আরও অগ্রসর হওয়ার আগেই আমি বলতে চাই যে, আজকের পরিস্থিতিতে আমি বিশেষ কয়েকটি দিক সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক মন্তব্যই করতে পারি। আমার কমরেডদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ পাওয়ার পরই আমি বিস্তারিত এবং পরিপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করব।
এখন দক্ষিণ আফ্রিকা, কালো এবং সাদা, অধিকাংশ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে যে বর্ণবাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। শান্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে আমাদের সিদ্ধান্তমূলক সমবেত কর্মপ্রয়াসের দ্বারাই এর অবসান ঘটাতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই কেবল আমাদের সংগঠনের এবং জনগণের সূচিত প্রতিরোধমূলক এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে গণ-প্রচারণার ইতি ঘটানো হতে পারে।
বর্ণবাদ আমাদের উপমহাদেশে বেহিসেবি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমাদের লাখ লাখ মানুষের জীবনে পারিবারিক সম্পর্কের সূত্রটি বিনষ্ট হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন ও কর্মহীন। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আমাদের জনগণ রাজনৈতিক কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। ১৯৬০-এ ‘উমখন্তো সিজ উই’ নামে এএনসির সামরিক শাখা গঠনের বিষয়টি ছিল বর্ণবাদী হিংস্রতার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক প্রচেষ্টা মাত্র।
যেসব কারণে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে হয়েছিল, সেগুলো এখনো অব্যাহতই রয়েছে, আমাদেরও কোনো বিকল্প নেই, সংগ্রাম চালিয়ে যেতেই হবে। আমরা আজ এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি
যে যথাসত্বর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যার ফলে আর সশস্ত্র সংগ্রামের প্রয়োজন থাকবে না।
আমি আফ্রিকান জাতীয় কংগ্রেসের একজন অনুগত এবং সুশৃঙ্খল সদস্য। সুতরাং সংগঠনটির সব লক্ষ্য, দক্ষতা এবং কৌশল সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ আস্থাশীল। আগের যেকোনো সময়ের মতোই এখনো আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজটি একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো নেতার পক্ষেই এককভাবে এ বিপুল দায়িত্ব বহন করা সম্ভব নয়। নেতা হিসেবে আমাদের সবারই দায়িত্ব হচ্ছে, সংগঠনের সমীপে নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা, যাতে সক্রিয় গণতান্ত্রিক কাঠামোর মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হতে পারে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সম্পর্কে কর্তব্যবোধ থেকেই এ কথা বলার প্রয়োজন উপলব্ধি করছি যে আন্দোলনের নেতা হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি দায়িত্ব পালনের জন্য জাতীয় সম্মেলন কর্তৃক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা হচ্ছে এমন একটি নীতি, ব্যতিক্রমহীনভাবেই যা মেনে চলতে হবে।
আজ আমি আপনাদের অবহিত করতে চাই যে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই ছিল সরকারের সঙ্গে আমার আলোচনার লক্ষ্য।
আমরা এখনো সংগ্রাম-সংশ্লিষ্ট দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা শুরুই করতে পারিনি। সরকারের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার প্রথমেই আমার দিক থেকে, এএনসি এবং সরকারের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব করা ছাড়াও দেশের ভবিষ্যৎ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনায় উত্থাপন করা হবে।
মি ডি ক্লার্ক দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, অন্য যেকোনো জাতীয়তাবাদী প্রেসিডেন্টের তুলনায় অধিকতর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তবে, আরও কতিপয় বিষয় ‘হারারে ঘোষণা’য় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, আমাদের জনগণের মূল দাবিগুলো সম্পর্কে সমঝোতামূলক আলোচনা শুরুর আগেই, যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের অন্যান্য দাবির সঙ্গেই আমি জোর দিয়েই বলতে চাই যে অবিলম্বে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে এবং কোনো কোনো রাজবন্দীকে নয়, সব রাজবন্দীর মুক্তি দিতে হবে।
এমন একটি স্বাভাবিক অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায় এবং আমরা জনগণের সঙ্গে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অভিমত গ্রহণ করতে পারি।
সমঝোতামূলক আলোচনা কে করবেন, কী কী বিষয় আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, এসব বিষয়ে জনগণের সঙ্গে আগেই আলোচনা করতে হবে। আমাদের জনগণের মাথার ওপর দিয়ে কিংবা পশ্চাতে সমঝোতামূলক আলোচনা চলতে পারে না। আমরা বিশ্বাস করি যে সম্প্রদায়গত ভেদাভেদহীন গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি সংগঠনই কেবল দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। গণতান্ত্রিক, জাতি-বিদ্বেষহীন এবং একত্বশীল দক্ষিণ আফ্রিকা গঠনের জন্য অবশ্যই আমাদের জনগণের বহুল উচ্চারিত দাবি অনুসারেই বর্ণবাদের অবসান ঘটাতে হবে।
রাজনৈতিক ক্ষমতার পর শ্বেতাঙ্গ একাধিপত্যের অবসান ঘটানো এবং আমাদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামোর মৌলিক পুনর্বিন্যাস করাও অপরিহার্য, যাতে বর্ণবাদের ফলে সৃষ্ট বৈষম্য দূরীকরণ এবং আমাদের সমাজের পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বিকাশ সম্ভব হতে পারবে।
এ কথাও উল্লেখ করা দরকার যে মি ডি ক্লার্ক একজন সততাসম্পন্ন ব্যক্তি, যিনি একজন জন-ব্যক্তিত্বের অঙ্গীকার অসম্মান করার বিপদ সম্পর্কে যথার্থই অবহিত রয়েছেন। কিন্তু একটি সংগঠন হিসেবে রূঢ় বাস্তবতার ভিত্তিতেই আমাদের নীতি ও কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। আর সেই বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা এখনো জাতীয়তাবাদী সরকারের অধীনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
আমাদের সংগ্রাম এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে উপনীত হয়েছে।
আমরা আমাদের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই সময়টাকে ধরে রাখুন, যাতে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় এবং অব্যাহত থাকে। স্বাধীনতার জন্য আমরা সুদীর্ঘকাল অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের পক্ষে আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এখন সবদিকেই আমাদের সংগ্রাম তীব্রতর করে তুলতে হবে। আমাদের উদ্যোগের শিথিলতা খুবই ভুল হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষমা করতে পারবে না।
দিগন্তে দৃশ্যমান স্বাধীনতার আভাসই আমাদের উদ্যম দ্বিগুণ বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে।
সুশৃঙ্খল গণপ্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করা যেতে পারে। শ্বেতাঙ্গ সহযোদ্ধাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, নতুন এক দক্ষিণ আফ্রিকা গঠনে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। স্বাধীনতার সংগ্রাম আপনাদেরও রাজনৈতিক ঠিকানার নিশ্চয়তা দেবে। বিশ্ব-সমাজের প্রতি আমাদের আহ্বান, বর্ণবাদী শাসকদের নিঃসঙ্গ করে ফেলতে আপনাদের প্রচারণা অব্যাহত রাখুন।
এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Lift sanctions) করা হলে, বর্ণবাদ সম্পূর্ণ অবসানের প্রক্রিয়াটিকে বিনষ্ট করার ঝুঁকি নিতেই হবে।
স্বাধীনতার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা অপরিবর্তনীয়। আমাদের যাত্রাপথে ভয়কে প্রতিবন্ধক হতে দেওয়া চলবে না।
ভাষান্তর: রামেন্দ্র চৌধুরী।
সূত্র: নেলসন ম্যান্ডেলা ইন হিজ ওন ওয়ার্ডস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।