বিশেষ তেমন কিছুই আমার নেই। সাধারন একটা মানুষ আমি।
প্রথমেই শর্ত বলে নেই, গুলিস্থান থেকে রিসোর্ট এ যাওয়া থেকে আসা সাথে দুপুরের খাবার পর্যন্ত ৩০০ টাকায় হবে। কটেজে থাকতে পারবেন না। এছারা আপনার ব্যাক্তিগত খরচ এর ভিতরে পরবে না।
প্রস্তুতিঃ ১টা ব্যাগ নিন, সাথে ভেজানোর জন্য গেঞ্জি ও থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট বা আপনার যা ইচ্ছে সেটা নিন। গামছা ও লুঙ্গি (বদলানোর জন্য) নিবেন। ক্রিম নিতে পারেন যা শীত।
গুলিস্থান থেকে গাংচিল গাড়িতে উঠে পড়ুন। এ গাড়িতে টিকেট কাটতে হবে না।
ভারা ভিতরে দিতে হবে।
লৌহজং ( ঘোড়দৌড় বাজার) এর টিকেট নিন। ৬৫ টাকা নিবে।
এবার কাউকে জিজ্ঞেস করুন কিভাবে রিসোর্ট এ যাওয়া যায়। স্থানীয় অনেক কেই দেখলাম পার্ক বললে ভাল চেনে।
পদ্মা রিসোর্ট ভাল চেনে না।
ঘাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকা আছে, তাকে বলুন রিসোর্ট এ যাবেন। তিনি রিসোর্ট এ প্রবেশ ও যাওয়া-আসা বাবদ ৫০ টাকা নিবে।
নামার পরে ছবি তুলতে পারেন কয়েকটা।
ঢুকে পড়ুন ভিতরে।
এই রকম কিছু কটেজ দেখতে পাবেন।
রিসোর্ট এর মাঝে কয়েকটা গাছ আছে, যার থেকে বাতাসে তুলা উড়ে আসে প্রতিনিয়ত।
আপনার মনে হতে পারে তুষার।
অনেক চেষ্টা করেও তার ছবি আনতে পারিনি। ক্যামেরা ভাল না।
আপনি ভালটা নিয়ে যেতে পারেন।
মাঝে বসার ব্যাবস্থা আছে। কিন্তু পক্ষীকুলের মল পরে খুব একটা ভাল অবস্থায় নেই। ভাল খবর এটা যে সব শুকনো আপনার প্যান্ট এ লাগবে না।
ড্রেস বদলে নিন, ভারি ড্রেস পরে আর কত?
চাইলে খেলতে পারেন।
ফুটবল নিয়ে আসলে ভালই সময় কাটবে। কানামাছি বা গানের কলি দিয়ে সময় পার করে দিন কিছুটা। এবার ঘাসের উপর বসে থাকতে পারেন।
শুয়ে থাকতে পারেন। এভাবে।
আসলে রিসোর্ট এর মধ্যে দেখার জিনিস এই কটেজ গুলোই।
তুলতে পারেন প্যানারমা ছবিও।
এবার গোসলে যান।
নামার আগে ছবি তুলুন।
পরেও তুলুন।
নদীর পারে হাঁটতে পারেন।
আশপাশের কাশবনে যেতে পারেন গোসল শেষে।
এবার ঘাটে এসে অপেক্ষা করুন কখন বোট এপারে আসবে।
আসলে পার হয়ে যান।
উপভোগ করুন পদ্মার রূপ।
পারে নেমে যেখানে বাস থেকে নেমেছিলেন সেখানে চলে আসুন।
ওখানে তানজিল ঘরোয়া হোটেল নামে একটি হোটেল দেখতে পাবেন। মালিকের নাম বিল্লাল। দোকানটি খুজে না পেলে ফোন দিতে পারেন তাকে। ০১৭১০৩৪৫৩০৫।
যে কোন তথ্য পেতে তার সাহায্য নিন।
ওটায় যান। মুরগির রান সাথে ডাল দিয়ে ভাত খান। রান্নাটা দারুন করে। ব্যবহারটাও দারুন।
১০০ টাকায় হয়ে যাবে।
ভাত ২ প্লেট ২০ টাকা, মুরগী (রোস্টের পিস) ৭০ টাকা। ডাল ১০ টাকার নিন।
খাওয়া হলে দোকানের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে রেস্ট নিন। বিল মিটিয়ে আবার গাংচিল বাসের জন্য অপেক্ষা করুন।
ঐ বাস ধরে চলে আসুন গুলিস্থান।
ভাগ্য ভাল হলে দেখতে পাবেন কিভাবে চলন্ত বাসে দাড়িয়ে ঘুমাতে হয়।
মোট খরচঃ
বাস ভারাঃ ৬৫*২= ১৩০
বোট ও প্রবেশঃ ৫০
খাওয়াঃ ১০০
সব মিলে হল ২৮০ টাকা।
বাকি ২০ টাকা আমার মোবাইল দিয়া দিলেই ৩০০ টাকার মধ্যে ঘোরা হয়ে গেল।
আমার সাথে ফেবু তে যারা ফ্রেন্ড তারা সব ছবি দেখতে এখানে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।