বিশ্বকাপ ড্রর আগেই আটটি গ্রুপের আট বাছাইয়ের মধ্যে থাকায় প্রথমেই অন্য বাছাইদের এড়ানোর সুবিধা পেয়েছে দেশ তিনটি। এরপর ভাগ্যও প্রসন্ন, খুব বেশি শক্তিশালী দল নেই এদের কোনোটির গ্রুপেই।
গ্রুপ 'সি'
বাছাই দল কলম্বিয়া গ্রুপ সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে গ্রিস, আইভরি কোস্ট ও জাপানকে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর হলেও কলম্বিয়াকে শিরোপা প্রত্যাশী দল হিসেবে হয়ত বিবেচনায় রাখবে না ফুটবলবোদ্ধারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওদের সাফল্য বেশ আশা জাগানিয়া।
বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার পেছনে থেকে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে চুড়ান্ত পর্বে উঠেছে তারা।
তবে একটা বিষয় সত্যি, গ্রুপটিতে বড় কোনো নাম না থাকলেও দলগুলোর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কঠিন লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগায়। যেমন, ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বে ‘জি’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ খেলে ব্রাজিলের টিকেট পেলেও গ্রিসের সাফল্য ছিল চোখে লাগার মতো। ঐ গ্রুপ থেকে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা সরাসরি উঠলেও গ্রিস ও তাদের পয়েন্ট ছিল সমান ২৫। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে গ্রিকরা।
এশিয়া অঞ্চল থেকে গ্রুপ সেরা হিসেবে ব্রাজিল যাত্রা নিশ্চিত করে জাপান। আর দিদিয়ের দ্রগবা ও ইয়াইয়া তোরের দেশ আইভরি কোস্ট তো যেকোন প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাতে সক্ষম।
তাই প্রায় সমমানের দল নিয়ে গড়া এই গ্রুপ থেকে সেরা দুইয়ের ভবিষ্যৱবাণী করাটা বেশ কঠিন। দলগুলোর কোচদের মুখেও ঐ একই কথা। সবাই স্বীকার করলেন- এখান থেকে যে কোনো দলই পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে পারে।
তার মানে এই নয়, এটা সহজ গ্রুপ। বরং এটাই আরো কঠিন করে তুলেছে গ্রুপটিকে।
গ্রুপ 'ই'
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খারাপ হলেও ফ্রান্সকে ‘ই’ গ্রুপের সেরা দল ভাবতে কোনো সমস্যা নেই। একেতো তারা ১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তার উপর আবার ভাগ্যের দুয়ারটা তাদের জন্য বেশ উন্মুক্তই মনে হচ্ছে।
প্লে-অফ খেলে বাছাইপর্বের বাধা উৎরাতে হয়েছে তাদের।
ইউরোপীয় দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও সর্বশেষ দল ছিল ওরা। তারপরও লটারি ভাগ্যে বড় কোনো নাম এড়ানোটা সৌভাগ্য ছাড়া কি?
তবে সুইজারল্যান্ডকে গোনায় না ধরলে ফরাসিদের ভুগতে হতে পারে। বাছাইপর্বে অপরাজেয় থাকা সুইজারল্যান্ড ১০ ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে, অপর তিনটি ড্র হয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে সেরা সাতের মধ্যে হওয়ায় তারা বাছাই দলের মর্যাদা পায়।
মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য কিছুটা ভালো অবস্থানে ফরাসিরা।
৩৬ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফ্রান্সের ১৫ জয়ের বিপরীতে সুইজারল্যান্ডের জয় ১২, অপর নয়টি ম্যাচ ড্র। বিশ্বকাপে একবারই দেখা হয়েছে তাদের। ২০০৬ সালের গ্রুপপর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
অপর দুটি দল ইকুয়েডর ও হন্ডুরাসকে বিশ্বকাপের মঞ্চে তুলনামুলক ছোট দল বলাই যায়।
গ্রুপ 'এইচ'
‘এইচ’ গ্রুপে সেরা বাছাই বেলজিয়ামের সঙ্গী আলজেরিয়া, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বাছাইপর্বে বেলজিয়ামও কোনো ম্যাচ হারেনি, ১০ ম্যাচে জিতেছে আটটিতে, দুটি ড্র।
এই গ্রুপের অপর ইউরোপীয় দল রাশিয়াও বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই চুড়ান্ত পর্বে উঠেছে।
আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া ও এশিয়ার দল দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিশ্বমানের না হলেও সেরা দুইয়ের লড়াইয়ে তারাও বাদ যাবে না। তাছাড়া ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলার সুখস্মৃতিও বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে কোরিয়াকে।
বেলজিয়ামের কোচ মার্ক ভিলমটস যেমন বললেন, প্রতিপক্ষ দলে তারকা খেলোয়াড় নেই ঠিকই তবে সবকটি দলই শক্তিশালী।
তাদের হারানোটা কঠিন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।