কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নির্বাচনকালীন সরকারের সময় হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু পরিপত্র জারি করতে গিয়ে জটিলতা দেখা দিল। জাতীয় বেতন কাঠামো থেকে এই ব্যাংকগুলোকে আলাদা করতে হবে।
সে জন্য আইন সংশোধন প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সরকার সেটা পারবে না।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর প্রথম আলো ডটকমকে বলেছিলেন, ‘সিদ্ধান্ত যেহেতু নেওয়া হয়েছে, এটি হবেই। এখন আইনি ধারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ’
আইনি বাধার কারণে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না।
রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে কিছু করা হবে না। ’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের জারি করা আদেশের বলে এবং জাতীয় বেতন কাঠামো ২০০৯ অনুযায়ী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পেয়ে আসছেন। চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন, ১৯৭৫-এর ৫ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি হয়।
আজকের ব্রিফিংয়ে মুহিত আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি বেশ কষ্টে আছে। অবরোধে সব বন্ধ।
অর্থনীতির সব প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দিচ্ছে। এবং ইট ইজ দ্য গিফট অব খালেদা জিয়া। তিনি মানুষ পোড়ানোর সংস্কৃতি চালু করেছেন। অর্থনীতির বিষয়ে সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা তা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।