আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনালী ব্যাংকের ১২ বছর!!

Blogger

১৯৯৮ সালে প্রথম যাওয়া হয়েছিল সোনালী ব্যাংকে আমার বাবার একাউন্টে টাকা জমা দিতে, মোট সময় লেগেছিলো ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট কারন, জিনি না কি টাকা জমা দেবার বই এ দস্তখত দিবেন তিনি এখনো অফিসে এসে পৌছেন নি। সম্ভবত সেটা ছিল আমার ভুল আমি ব্যাংকে পৌচ্ছেছিলাম ১০:১০ মিনিটে ( যতদুর মনেপরে)। সৌভাগ্যবশত আমাকে আর সোনালী ব্যাংকে যেতে হয়নি গত ১২ বছর। এবার ২০১০ সালে যেতে হলো আবার সেই ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট এর সোনালী ব্যাংক এ বাবার একাউন্টে টিটি পাঠাতে । এক ভুল তো আর বারবার করা যায় না তাই এবার র ১০টার সময় না গিয়ে, ব্যাংকে গেলাম বেলা ১:০০ টায়।

এবার তো দেখি উৎসব চলতেছে এখন ১:০০ টা বাজে লান্চ ব্রেজ পরে আসেন। এক জন কে বল্লাম ভাই আমি টিটি পাঠাব একটা ফ্রম দিবেন প্লিজ? আমার রিপ্লাই এ সে আমাকে একটা ফ্রম দিয়ে বললেন এটা পূরন করে কেশ কাউন্টারে টাকা জমা দিন। আমি গুনতে শুরু করলাম... একনো ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট বাকি। ফ্রম পূরন করে কেশ কাউন্টারের সামনে দাড়ালাম ৮ জন এর পিছনে। আমাদের চার পাসে সবাই লান্চ করছে আর আমরা ৩ লাইনে প্রায় ২৩ জন, সাথে এক জন সরকারি পুলিশ কর্মকতা।

প্রতিট কাউন্টারে সামনে একটা বড় রেজিস্টার খাতা। নিদৃস্ট সময় পর সেই বিশাল আকৃতির খাতা সরানো হলো শুরু হল দিনের দ্বিতীয় অধ্যয় এর কাজ.. আমি আশ্চর্য হলাম মাত্র ২০ মিনিটে উনারা আমাদের সবার টাকা জমা নিয়েনিলেন। এর মধ্যে সেই সরকারি কর্মকতা কে একজন ডেকে নিয়ে তার কাজ টা কোরে দিলেন আমাদের সবার আগে। এটা দেখে আমি আরো আশ্চর্য হলাম যে সোনালী ব্যাংক আজকাল কর্তব্যরত কর্মকতাদের গুরুত্ব দেন!! কিন্তু সমস্যা করল এক জন। জিনি না কি ফোন করে কনফার্ম করবেন যে টাকা টা একাউন্টে পাঠিয়ে দেবার জন্য।

তিনি তার নিজস্ব কাজে আজ অফিসে ব্যস্ত থাকবেন, আজকে উনি কল করতে পারবেন না টাকা একাউন্টে যাবে কালকে। এই একজনেরা মানুষের কাছে এতো বরো একটা প্রতিষ্ঠান কে করে তুলছে অসহনিয়। সোনালী ব্যাংক এর নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে ঠিক ই, কিন্তু সেই যে এক জন, ১২ বছরে ও ঠিক হয়নি তার কার্যক্রম (আমি সোনালী ব্যাংক এর দুই ব্রন্চে এর কথা বলছি ১২ বছর আগে আর ১২ বছর পরে ; দিন পাল্টেছে কিন্তু সেই মানুষেরা পাল্টায় নি)। আসুন আজ পাল্টে ফেলি সেই গুটি কয়েক মানুষ কে যারা আমাদের গতিময় জিবন কে করে তুলে স্থবির।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।