মোঃ জাহিদ হোসেন
বর্তমান সময় হল তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ যেমন তার জীবন যাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে তেমন এর অপব্যবহারের ফলও কিন্তু কম নয়। এমন একটি নমুনা হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকে কাউকে হয়রানি করা কিংবা প্রতারণার করা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন প্রায় সকলের কাছে জনপ্রিয়। ফেসবুকের মাধ্যমে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধেও জড়িয়ে যাচ্ছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই এর বেশি শিকার হচ্ছে। ভাবছেন এর কি কোন প্রতিকার নেই? হাঁ আছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৭ (১) ধারাতে বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাটে বা অন্যকোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যা মিথ্যা ও অশ্লীল যার দ্বারা কারো মানহানি ঘটে বা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় আর এ ধরনের তথ্যগুলোর মাধ্যমে সংলিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হলে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান আছে।
আবার পর্নোগ্রাফি আইন, ২০১২ এ আছে কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি এ ধরণের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আমরা অনেকে এইসব আইন সম্পর্কে জানিনা বা জেনেও আইনের আশ্রয় নি না বলে এসব অপরাধ ও অপরাধীকে দমানো কঠিন হচ্ছে।
মোঃ জাহিদ হোসেন, সভাপতি, হিউম্যান রাইটস স্টুডেন্ট কাউন্সিল,
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, বি.এইচ.আর .এফ. (চট্রগ্রাম শাখা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।