সভ্যাতা মানুষের তৈরি ,মানুষ সংগ্রামের পথ ধরে বেয়ে চলা সৈনিক । তাই মানুষের জয় অনিবার্য
লাউয়াছড়া,বাইক্কা বিল,হামহাম,মাধবকুন্ড, জাফলং ও সিলেট এর পথে…:
শ্রীমঙ্গল থেকে জাফলং । সময় ৫ দিন । চট্টগ্রাম থেকে জালালাবাদ এক্সেপেসে উঠছি রাত ৯ টায় । ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা ।
সিলেট যাব । পরের দিন দুপুর ১ টায় পৌছায় শ্রীমঙ্গল । বন্ধু প্রীতম আগে থেকেই গেষ্ট হাউস ঠিক করে রেখেছে । উঠে পড়লাম শ্রীমঙ্গল গেষ্ট হাউসে । হাওড়ের মাছের বৈচিত্র্যময় রান্না খেলাম দুপুরে ।
বিকেলের সময়টা ঘুরে দেখলাম শ্রীমঙ্গলের চা বাগান গুলো,বোনাস হিসেবে দেখা মিলল আকাশের মত বিশাল কাশবন আর রাবার বাগানের বানরের ঝাঁক । রাতে শ্রীমঙ্গল শহরটা ঘুরে দেখলাম (১ম রাত)। সকালে আমাদের যাত্রা হামহাম এর পথে সমতলের দিগন্ত জোড়া জনপথ ফেলে ,অরণ্যে প্রবেশ । জঙ্গলের পথটা কাদা আর পানিতে ভরপুর ,তেমন কোন বড় পাহাড় না উঠে চলে আসা যায় হামহাম । তবে বৃষ্টি ভালোই ছিল ।
পাহাড়ে ছেড়ে সমতলে এমন পাহাড়ি পথ বেশ সুন্দর । জঙ্গলের পথটা বেশ উপভোগ্য । হামহাম ঝর্ণার জলে হারিয়ে গেলাম । সন্ধ্যার আগেই ফিরেছি কমলগন্জ্ঞ । রাতে শ্রীমঙ্গল গেষ্ট হাউসে ( ২য় রাত )
সকালেই শ্রীমঙ্গলে বিখ্যাত পায়েস লুচি খেয়ে রওনা হয়েছি বাইক্কা বিলের পথে ।
ভ্রমন যান একটা মিনি ট্রাক । সারাদিনের জন্য ,প্রথমে বাইক্কা বিল ,পদ্ম ফুল আর অতিথি পাখিতে ঘেরা দেশের বৃহত্তম জলাভূমি । সেই ট্রাকে করে আবার শ্রীমঙ্গল আসলাম । ড্রাইভারসহ দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম । দুপুরের শেষ নাগাদ রওনা হলাম লাউয়াছড়ার পথে,লাউয়ায় ছিলাম প্রায় ৩ ঘন্টা ,এরপর রওনা হলাম মাধবপুর লেকের দিকে ,খোলা ট্রাকে বসে চারপাশটা ভালই উপভোগ করলাম ।
মাধবপুর লেকের নীল পদ্ম আর স্বচ্ছ জলের বন্ধন অকৃত্রিম । মাধবপুর থেকে সেই ট্রাকে করেই সন্ধ্যায় পৌছাই মৌলভীবাজার । । সারা দিন খোলা ট্রাকটা আমাদের সাথেই ছিল । রাতে মৌলভীবাজার ছিলাম(৩য় রাত)
সকালে মৌলভীবাজারের বিখ্যাত মিষ্টি ছিল আমাদের ব্রেকফ্লাস্ট ।
একটা প্রাইভেট কারে রওনা হলাম মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে । তবে মাধবকুন্ড যাওয়ার সড়কটা বেশ ভাঙ্গা । দুপুরে ফিরলাম মাধবকুন্ড থেকে । ওখান থেকে ট্রেনে চেপে রওনা হলাম সিলেটের পথে । প্রথম সিলেট আসা ।
পড়ন্ত বিকেলে সুরমা নদীর শহর সিলেটে । রাতে ঘূরে বেড়ালাম শাহজালালের মাজার আর আনন্দমোহন কলেজ ,সুরমা ব্রীজ । রাত যাপন সিলেটে (৪র্থ রাত )সকালে লোকাল বাসে চেপে জাফলং এর পথে । তীব্র রোদে মাথায় নিয়ে নৌকায় করে রওনা হলাম জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের দিকে । নীল জলরাশি আর পাথরের জনপথ জাফলং ।
তবে মেঘালয়ে ঝুলন্ত ব্রীজের দৃশ্যটা সবার মনে থাকার মত । জাফলংয়ের নদী পাথর ভরা । তবে পানিটা বেশ ঠান্ডা আর স্বচ্ছ । বিকেলের মধ্যে সিলেট শহরে পৌছে সরাসরি চলে গেলাম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় । রাতে আমাদের ট্রেন ।
উদায়ন এক্সপ্রেস (৫তম রাত) সকালে পৌছে যায় প্রিয় শহর চট্টগ্রামে । ৫ দিনের একটা দারুণ ভ্রমণ হলো চা আর সাতকড়া’র শহর শ্রীহট্ট ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।