আমি অচিন পাখি,অচিনই থাকতে চাই দিনের আলোকে ঠেলে দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে যখন কালো আধার ঢেকে ফেলতে থাকে সন্ধ্যা। আর এ সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাতেই বাড়তে থাকে রাজধানীর সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্দ্যান ও তার আশেপাশের সড়ক গুলোতে অপরাধ চক্রের সক্রিয়তা। মাদক ব্যবসা,দেহ ব্যবসা,ছিনতাই সহ নানা অপরাধের জন্য স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে এ উদ্দান। কয়েকটি সংঘ বদ্ধ চক্র সম্মিলিত ভাবে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষিদের টাকা দিয়ে নিশ্চিন্তে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে চন্দ্রিমা উদ্দানে নিয়মিত ঘুরতে আসা লোক জন অভিযোগ করেন।
সরেজমিন ঘুরে ও নিয়মিত ঘুড়তে আসে এ রকম লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর পুরো চন্দ্রিমা উদ্দানের ভেতরে চলে গাঁজা,ইয়াবার,মদ সহ নানাধরনের মাদক দ্রব্যের রমরমা ব্যবসা।
গতকাল সন্ধ্যার পর জিয়ার মাজারের বাম পার্শ্বে দেখা গেলো এক লোক এসে এক বাদাম ব্যবসায়ীর কাছে এসে কি যেন বললেন। তার পর সে বাদাম ব্যবসায়ী তার বাদামের ডিশের ভেতর থেকে কাগজে মোড়া দ্রব্য বিক্রি করল । পরবর্তীতে আশেপাশের লোক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় ওই ছেলেটি আসলে নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করছিল। এ রকম প্রায় ১০-১২ জন ছেলে নিয়মিত ভাবে বাদাম, পানীয়, সিগারেট বিক্রির আড়ালে মাদক বিক্রি করে আসছে। বেশ কিছু নারী মাদক বিক্রেতাও
এ এলাকাতে মাদক বিক্রি করে।
পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষিদের নিয়মিত ভাবে টাকা দিয়ে তারা মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সন্ধ্যার পরই বিজয় স্বরনী মোড় থেকে গণ ভবন মোড় পযর্ন্ত দেহ ব্যবসায়ী ও হিজরাদের খদ্দের খুঁজতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর পুরো রাস্তাই যেন চলে যায় দেহ ব্যবসায়ী ও হিজরাদের দখলে। এছাড়া রাস্তার উপর সারি সারি দাড়িয়ে থাকা গাড়ি গুলোতে অবৈধ কার্যকলাপ।
জানা যায়, সংসদ ভবনের পেছনের চন্দ্রিমা উদ্দান সংলগ্ন রাস্তা ও উদ্দানে চলে ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবারও আহমেদ শরীফ নামে তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও ২ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। ছিনতাইয়ের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেহ ব্যবসায়ীদেও টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগারগাও ও মোহাম্মদপুরের কিছু বখাটে ছেলে দল বেধে নিয়মিত ভাবে এ ঘনা ঘটিয়ে থাকে। তবে রাতের বেলা বেশ কিছু হিজরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় বলে এ উদ্দানে ঘুরতে আসা লোকজন অভিযোগ করেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে আসা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যা পর এ রাস্তা দিয়ে হাটা দিয়ে হাটাই যায় না।
পুরো এলাকাই থাকে দেহ ব্যবসায়ী,মাদক ব্যবসায়ী ও হিজরাদের দখলে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক পদক্ষেপ নিলে সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক নৈসর্গিক এ এলাকাকে নগরীর সাধারন জনগনের জন্য একটু অবসর কাটানো অন্যতম জায়গা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।