আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গেমস ওয়ার্ল্ড [পর্ব-২৫] :: Tomb Raider: Legend ( একটি ভিন্নধর্মী রিভিউ )


আমার কাছে টম্ব রাইডার সিরিজের ৩ টি গেমস সবচেয়ে ভালো লেগেছে । একটি হলো স্কোয়ার ইনিক্সের সর্বশেষ বানানো টম্ব রাইডার ২০১৩ । আর অন্য দুইটি হলো টম্ব রাইডার লিজেন্ড এবং টম্ব রাইডার টু । তবে টম্ব রাইডার টু গেমসটি অনেক পুরনো । তাই বর্তমান গ্রাফিক্স যুগে ওই গেমস খেলে  সবাই মজা পাবে না ।

তাই আমি টম্ব রাইডার খেলা উচিত । এর গ্রাফিক্স অতোটা খারাপ নয় । আবার স্টোরিলাইন এবং গেমপ্লেতে রয়েছে ব্যতিক্রমতা ।   গেমসের প্রথম স্টার্টিং আমার কাছে এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে ।
ক্রিস্ট্রাল ডাইনামিক ২০০৬ এ গেমসটি বানায় ।

সেই বছরের ৬ এপ্রিলে গেমসটি প্রকাশ করে ইডোস ইন্টারঅ্যাক্টিভ ।   গেমসটি কম্পিউটার , প্লেস্টেশন টু , এক্সবক্স , এক্সবক্স ৩৬০ , প্লেস্টেশন থ্রি ছাড়াও আরো ৫ টি গেমিং কনসোলে খেলা যাবে ।
গেমসের ঘটনা শুরু হয় , যখন গেমসের মূল চরিত্র লারা ৯ বছরের বালিকা ছিলো । গেমসে দেখা যায় , লারা এবং লারার মাকে বহনকারী বিমান হিমালয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে । কিন্তু কাকতালীয়ভাবে তারা দুইজনই বেঁচে যায় ।

  তারা একটি স্থানে আশ্রয় নেয় । বিচক্ষণ লারা সেই স্থানে একটি পাথরের বেদিতে একটি তলোয়ার আবিস্কার করলো । তার মা ওই তলোয়ার ধরতেই অদৃশ্য হয়ে গেলো । ছোট্ট লারা অনেক ভয় পেলো । ভয় পেয়ে লারা ওই স্থানে একটি গোলাপি রঙের বই ফেলে গেলো ।

যে বই দ্বারা তার মাকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো ।

সেই ঘটনার অনেক বছর পর , লারা বলিভিয়াতে গেলো । সে বলিভিয়াতে গিয়ে নেপালের মতো আধ্যাত্মিক পাথরের বেদি খোঁজার প্রচেষ্টা শুরু করলো । বিভিন্ন শত্রুর মোকাবেলা করে , বিভিন্ন ধাঁধার সমাধান করে লারা একটি ব্রিজের নিকট পৌঁছায় । সেখানে সে জেমস রুটলার এবং তার ভাঁড়াতে সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হয় ।

  রুটলার এবং তার ভাঁড়াতে সন্ত্রাসীরা লারাকে আক্রমন করে । কিন্তু দক্ষ লারা সুন্দর ভাবে প্রতিহত করে । বাধ্য হয়ে রুটলার এবং তার লোক ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায় । এবং লারা একটি  । পাথরের বেদি খুঁজে পায় ।

  আর এইটিই হলো গেমসের প্রাথমিক ঘটনা ।
গেমার কে গেমসে লারা চরিত্র নিয়ে খেলতে হবে । গেমার এই গেমসে বলিভিয়া ছাড়াও ঘানা , পেরু , টোকিও , ইংল্যান্ড এবং কাজাকিস্তানের মতো সুন্দর জায়গায় খেলতে পারবে । লারা যখন বিভিন্ন পর্বত , অরণ্য এবং ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে যাবে , তখন গেমারকে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে । এর ফলে একজন গেমারের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে ।

শুধু সৃজনশীলতা বৃদ্ধি নয় গেমার একটি মজাদার বিনোদনের অংশীদার হবে ।
উপর থেকে নিচে , নিচ থেকে উপরে লাফ দেওয়ার সময় গেমার অনেক মজা পাবে । আবার প্রত্যেকটি লেভেলে রয়েছে ভিন্নতা । কোন লেভেলে গেমারকে সঠিক পথ খুঁজতে হবে । আবার কোন লেভেলে বিভিন্ন ধাঁধার সমাধান করতে হবে ।

আবার কোন লেভেলে গেমার কে মোটরবাইক চালিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করতে হবে । মোটরবাইক নিয়ে এক বিল্ডিং এর উপর হতে আরেক বিল্ডিং এ লাফ দিতে হবে ।
গেমসে কিছু মজার ধাঁধা আছে , যা বুদ্ধি খাটালে টা অনেক সোজা । যেমন : একটি স্তম্ভে উঠতে হবে । কিন্তু পথ নেই ।

কিন্তু পাশেই একটি বস্তু আছে যা দিয়ে উঠা সম্ভব । কৌশলে ওই বস্তু সরিয়ে নিজের পথ তৈরি করতে পারবে গেমার ।
প্রথমে গেমসের কন্ট্রোল বুঝতে গেমারের সমস্যা হতে পারে । কিন্তু কয়েক লেভেল খেললে সহজ হয়ে যাবে ।
গেমসে মোট নয়টি লেভেল আছে ।

প্রথম লেভেলের কথা তো প্রথমে বলেই দিলাম , এর পরের লেভেল গুলো বিভিন্ন স্থানে হয় । দ্বিতীয় লেভেলটির স্থান হলো পেরু । লারা তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে পেরুতে যায় । এই লেভেলে পুরোটা সময় গেমার কে তার অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে । লেভেলের শুরুতে রয়েছে প্র্যাকটিস করার সুযোগ ।

তারপর গেমার শত্রুর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে । ওই লেভেলেই গেমার প্রথম মোটরবাইক ব্যবহার করার সুযোগ পাবে । তারপর দেখা যাবে লারা একটি গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছে । সেই গুহার মধ্যে তার বিভিন্ন কাজ করতে হবে ।
এর পরের লেভেলটা মানে তৃতীয় লেভেলটা হবে টোকিওতে ।

যা আমার কাছে সবচেয়ে মজার লেভেল ।   লারা টোকিও তে এসেছিলো একটি তলোয়ার ইয়কুজার বসের কাছ থেকে নেওার জন্য ।   লারা প্রথমেই তাদের সাথে গোলাগুলি করে পরে । পরে পেন্ট হাউসের উপরে বেয়ে উঠে । এবং ইয়কুজার বসের সাথে মারামারি করে তলোয়ার ফিরিয়ে আনে ।


এর পরের লেভেল হলও ঘানা । এই লেভেলের শুরুতেই একটি কাজ দেয়া হয় । টা হলো কয়েকটি স্তম্ভকে টেনে ফেলে দেওয়া । এটি গেমসের একটি চমৎকার অংশ । এছাড়াও এই লেভেলে লারা কিছু নতুন মুভ শিখবে ।


এর পরের লেভেলে রয়েছে আর ভিন্নতা । লেভেলটি হলো বরফ ঢাকা কাজাকিস্তানে । সে সেখানকার একটি গোপন ক্যাম্পে যাবে কিছু স্পেশাল লেড সংগ্রহ করার জন্য । লেড সংগ্রহ করার পর সে একটি মোটরবাইক চুরি করে পালাবে । এরপর মোটরবাইক দ্বারা লাভ দিয়ে ট্রেনে উঠবে ।

তারপর একটি বিল্ডিং এ  আসবে । যেখান থেকে বের হওয়ার জন্য লারা পথ খুঁজা শুরু করবে । এই লেভেলেই লারা আমেন্ডার মুখোমুখি হবে । আমেন্ডার লোকজন তাকে মারার চেষ্টা করবে । এই লেভেলে কয়েকটি ধাঁধার মুখোমুখি হতে হবে ।


এর পরেই আসবে ইংল্যান্ডের একটি ভাঙ্গাচুরা বাড়ি । যা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ । কারন লারা এতো কষ্ট করে ইংল্যান্ডের একটি ভাঙ্গাচুরা বাড়িতে গিয়েছে । যাই হোক । মজা করলাম , লারা সেখানে গিয়েছিলো কারন সে তার তলোয়ারের চতুর্থ টুকরা সংগ্রহ করতে ।

যা কিং আরথারে কবরে লুকানো আছে ।   লেভেলের শেষের দিকের গ্রাফিক্স ও চমক দুইটাই আমার ভালো লেগেছে । চমকের কথা বললাম না । যারা খেলেছেন তারা নিশ্চয় বুজতে পারছেন । চমকটা জানতে হলে গেমসটি খেলতে হবে ।

লেভেলের শেষে লারা তার দুই সহযোগীর দেখা পায় । এবং সে নেপালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ।
নেপালের গেমপ্লেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে । আমি মনে করি আপনাদেরও ভালো লাগবে । আর গেমসের শেষ লেভেল বলিভিয়াতে ।

যেখানে লারা আর এমেন্ডা তাদের ফাইনাল যুদ্ধে নামে । এমেন্ডা কিছু অতিপ্রাকৃতিক জীবে সাহায্য নিয়েছিলো।
তাই দেরি না করে এখনই বসে যান গেমসটি খেলতে।
 Microsoft Windows 2000, XP,
Pentium 3 1.0Ghz or Athlon XP Equivalent,
256MB RAM,
100% DirectX 9.0c -compatible 64MB 3D Accelerated Card with TnL (GeForce 3Ti / Radeon 9 series).
গেমসটি উইন্ডোজ সেভেন ৩২ বিটে চলতে পারে । তবে আমি সিওর নই ।

কারন আমি এক্সপিতে গেমসটি খেলেছি ।

























সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.