বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গী ক্যামেরুন, মেক্সিকো ও ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ব্রাজিলীয়দের দ্বিতীয় রাউন্ডে না যাওয়ার কোনো কারণ কী আছে? ব্রাজিল দ্বিতীয় পর্বে সহজেই যাবে—ব্যাপারটা ধরে নিলেও তাদের যে দ্বিতীয় রাউন্ডেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, সেটা তো জানা কথাই। ‘বি’ গ্রুপ থেকে স্পেন ও হল্যান্ড গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম করলে এই দুই দলের একটির সঙ্গে লড়তে হবে ব্রাজিলকে।
তার মানে দ্বিতীয় রাউন্ডেও শেষ হয়ে যেতে পারে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন। কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি অবশ্য এসব নিয়ে একদমই ভাবছেন না।
তাঁর ভাবনাজুড়ে কেবল একটাই—ব্রাজিলকে আবারও বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়া।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী কোচ জানিয়েছেন, কোনো প্রতিপক্ষ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভয় নেই তাঁর। শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ছক কষছেন তিনি। স্কলারির ভাষায়, ‘আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। এ বার্তাটাই খেলোয়াড়দের দিচ্ছি আমরা।
ওরা যেন বুঝতে পারে, ফাইনালে যাচ্ছি আমরা। ব্রাজিলের মতো দল দ্বিতীয়ও হতে চায় না। ’
বিশ্বকাপের মতো মহারণে সবার আগে চাই আত্মবিশ্বাস। মাঠের লড়াই এতে অর্ধেকটা সহজ হয়ে যায়। সেই আত্মবিশ্বাস শতভাগ প্রকাশ পাচ্ছে স্কলারির কথায়।
এতটা আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণও আছে। একে তো ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট, তার ওপর ব্রাজিলের সাম্প্রতিক ফর্ম ঈর্ষণীয়। গত জুনেই বিশ্বকাপের মহড়া টুর্নামেন্ট ফিফা কনফেডারেশনস কাপ জিতেছেন নেইমাররা। ফাইনালে ব্রাজিল ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। বিশ্বকাপ শিরোপাটা নিজেদের ঘরে রেখে দেওয়ার স্বপ্নটা তাই দেখতেই পারেন ৬৫ বছর বয়সী স্কলারি, ‘প্রথমত দলকে জয় পেতে হবে।
যখন জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব, বিশ্বকাপ শিরোপায় একটা হাত রাখা হয়ে যাবে আমাদের। কনফেডারেশনস কাপেই আমরা দেখিয়েছি, আমরা ভালো খেলতে পারি। ’ সূত্র: ওয়েবসাইট।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ১২ জুন, ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে। ২৬ মে ঘোষণা করা হবে বিশ্বকাপ দল।
এর তিন দিন পরই অনুশীলনে নামবেন নেইমাররা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।