আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উল্লাশ করার সময় এখনও আসে নি - এখনও অনেক পথ বাকী



৪২ বছরে অপেক্ষা ! দীর্ঘসময় ধরে পরাজিত কশাইরা যেভাবে অর্থ আর ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে, তাতে একসময় মনে হয়েছিল বাংলার মাটিতে এদের বিচার বোধহয় অসম্ভবই হয়ে রইবে । তবে একসময় পরিস্থিতি পরিবর্তন হলো; ৭১ কশাইরা গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়ে ঘোরার সুযোগ পেলেও এবার তারা প্রথমবারের মত মুখোমুখি হলো বিচারের - শুধু আদালতের কাঠগড়াতেই নয়, বরং গণমানুষের কাঠগড়াতেও বটে। নির্বাচনী বক্তৃতায় সবচেয়ে ব্ড় ইস্যু হিসেবে বললেও সরকার গঠন করার পর ট্রাইবুনাল গঠনে সময়ক্ষেপন থেকে শুরু করে ট্রাইবুনাল আইনের ফাঁক-ফোকর, বিচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা - গোপনীয়তা, এমনকি খোদ ট্রাইবুনাল বিল্ডিংয়ের যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সর্বশেষ কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়েও সরকার যেরকম লেজে-গোবরে অবস্থা করে ফেলেছে তাতে পুরো বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জামাত-শিবির পরিকল্পিত ভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভ্রান্তি আর মিথ্যা ছড়ানোর সব সুযোগই পেয়েছে, এবং তারা তারা চমৎকারভাবে ব্যবহারও করেছে। যা হোক, অবশেষে এক কশাইয়ের বিচারিক প্রক্রিয়া আসলেই শেষ হলো বলে মনে হচ্ছে; রিভিউ'র আবেদন খারিজ করে দেয়ায় দেখলাম গনজাগরণ মন্চসহ অনেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছেন । কিন্তু আমার মনে হয় সংগ্রাম এখনও শেষ হয় নি ।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলেও এই রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকার কে এখন তীব্র আন্তর্জাতিক চাপ এবং দেশের ভেতর জামাত-শিবির জানোয়ারদের তান্ডব কে সামাল দিতে হবে - যা গত কয়েকদিনে অ্যামিনেস্টি, জাতিসংঘ, জন কেরী'র কথাবার্তায় এবং দেশের ভেতরের অবস্থা থেকে সহজেই ধারনা করা যায় । জামাতের বিলিয়ন ডলার এখন কথা বলা শুরু করবে - এত সহজে এই জারজেরা ছেড়ে দিবে না। যদিও সরকার এতদিন বড়গলায় বলে আসছিল যে 'যুদ্ধাপরাধী বিচারে কোনও আন্তর্জাতিক চাপ নেই', কিন্তু শেষ বেলায় দেখা যাচ্ছে চাপ তো আছেই, বরং খুব মারাত্নকভাবেই আছে, যাতে এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত জড়িত । খুব স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন জাগছে আমাদের দীপুমনি গত পাঁচ বছরে বিশ্বভ্রমনের রেকর্ড করে কি ঘোড়ার ডিমটা পেড়েছে যে এখন জাতিসংঘ পর্যন্ত বিচারের রায় বাস্তবায়নে বাঁধা দিচ্ছে ? তাই আমার মনে হয় উল্লাশ প্রকাশ করার সময় এখনও আসে নি। আর কটা দিন ধৈর্য্য ধরে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে যা করার তাই করে যাই, যাতে সরকার জাতীয়-আন্তর্জাতিক ভাবে আসা সকল চাপ-প্রলোভন-হুমকি প্রতিহত করে কশাইটিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে পারে ।

উল্লাশ করার সময় এখনও আসে নি; আমাদের বিজয়োল্লাশের সময় আসবে তখনই যখন এই কশাইদের কফিন দেখতে পাব - তার আগে নয় ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।