ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে গুগলের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর স্কট হাফম্যানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ভয়েস রিকগনিশন প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে। অডিও ডেটা টেক্সটের মতোই ডেটাবেইজে জমা হবে।
“ভবিষ্যতে আমাদের চারপাশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকমের ডিভাইস দেখা যাবে। পকেটে থাকবে সুপার কম্পিউটার, এমনকি হাতঘড়ি, চশমা কোনো কিছুই বাদ যাবে না। এর মধ্যে কিছু ডিভাইসের স্ক্রিন ও একটি কিবোর্ড থাকবে, কিছু ডিভাইসের থাকবে না।
সেগুলো কাজ করবে ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে। ” বলা হচ্ছে সে তালিকায় মোবাইল ফোনও বাদ যাবে না।
এরই মধ্যে গুগল যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলক গুগল গ্লাস প্রকল্পে ছবি, ভিডিও এবং ওয়েবসার্চে ভয়েস কমান্ড সিস্টেম চালু করেছে। এদিকে গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনেও একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিশ্বের শতকরা ৬০ ভাগ স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।
সংখ্যার দিক থেকে প্রায় একশ’ কোটি মানুষ স্মার্ট ফোন ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
বিশ্বে কতসংখ্যক মানুষ নিয়মিত ভয়েস কমান্ড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সে তথ্য জানায়নি গুগল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা তিনভাগ মানুষ নিয়মিত ভয়েস কন্ট্রোলড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। অর্ধেকেরও বেশি মার্কিনীর স্মার্টফোনে ভয়েস রিকগনিশন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এ বিশাল অংশের দুই তৃতীয়াংশ বিষয়টি নিয়ে সচেতন।
ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি ওয়েব সার্চে টেক্সট এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।