মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা খসরু।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের শোবিজকে ক্ষাভের সঙ্গে তিনি বলেন, শুধু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তার নির্দেশে ১৯৬২ সাল থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু কী পেলাম, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও তো কোনো সরকার এ পর্যন্ত আমাকে মূল্যায়ন করেনি, অথচ বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবের দাবি আমি করতেই পারি।ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশ স্বাধীন করা পর্যন্ত কোনো আন্দোলন-সংগ্রামেই কখনো পিছপা হইনি, কারণ আমার লক্ষ্য ছিল একটিই, তা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
কিন্তু আমাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব তো দূরে থাক, কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও দেওয়া হলো না। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় বাসায় পড়ে আছি। অথচ সরকার বা অন্য কেউ আমার খবর পর্যন্ত নেয় না।
দেশ স্বাধীন হলো সত্যি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? জাতি কী পেল? মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্যে কী জুটল, আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এখনো ক্ষোভ আর হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছি। অনেকে নিঃস্ব অবস্থায় মারা গেছে।
এ জন্যই কি ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল? কাকে বলব এসব কথা, কে শুনবে আমাদের হাহাকার? তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোনো কথা বলতে ইচ্ছা করে না। হয়তো এভাবেই অযত্ন-অবহেলায় একদিন চলে যেতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।