মনে হয় বুনো পাখিদের দেশ থেকে দেশান্তরে যাতায়াত দেখেই তারা পালাবার শিক্ষালাভ হয়েছিল।
আম্লিগ নেতা মতিন খসরু সংসদে কোয়েশ্চেন করসেন: মির্জা আব্বাসের বাড়ির ভিত্রে ঢুকে কারা মারধর করসে? তিনি কইতাসেন: বিএনপির ডাকা হরতালের টাইমে অতি উৎসাহীরা মির্জা আব্বাসের বাড়ির ভিত্রে ঢুকে মহিলাদের মারধর করসে। টিভিতে আম্রা দেখছি। মা-বোনেরা ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকবে। ঘুমের মধ্যে এভাবে মারধর করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা কারা?।
" এই কোয়াশ্চেন অত্যাশ্চর্যজনক। তিনি আরো অত্যাশ্চর্যজনক কথা কয়েছেন: "বাড়ির ভেতরে ঢুকে এভাবে মারধরের ঘটনা হতে পারে না। এটা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। এ সরকারের সময়ে এমন ঘটনা তো মোটেই হতেই-পারে না। "
হ।
এটি "বঙ্গবন্ধু"র আওয়ামিলীগের আমলই। আম্রা যদিও প্রশ্ন করসিলাম বর্তমান আওয়ামীলীগের ইতিহাস লই। থাক্গা।
মতিন সায়েব কয়েছেন তিনি টিভি দেখসেন। টিভিতে আম্রাও দেখসি।
কিন্তু এরা কারা এই প্রশ্ন জাগে নাই। প্রশ্ন করন লাগে নাই তাগো চিনতে। এরা হয় আওয়ামি র্যাব লীগ। নয় র্যাব মহাশয়রা তাদের ড্রেস পিন্দাইয়া ছাত্রলীগ বন্ধুদের কাম সারতে পাঠাইসিল। কিন্তু মতিন ভাইজান ড্রেস দেইখাও আনধা হৈ গেসেন গা।
ডাইল খাইসেন নিকি? অবশ্যই এই কথা কইতে ডাইল খাওন লাগে যে, আম্লিগের আমল মাবোনদের ইজ্জত আব্রু ঠিক থাকনের আমল। অবশ্যই আম্লিগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ মোল্লা ইটি চিন্তা কইরা আগেই কয়া দিসিলেন যে, ছাত্রলীগ হরতালের মিছিলে-বিএনপি নেতাগো বাসা-বাড়িতে বউঝিদের উপ্রে দা-বটি লই হামলা করলেও তার দায়ভার আওয়ামীলীগ নিতি রাজি নয় । কারণ দুজন এখন আর দুজনার নহে। ইটি থিকা কি ইটি বুঝে নিমু যে ছাত্রলীগ শুধু জাতির বোঝা নয় আম্লিগেরও বোঝা- যার কোন দায় তারাও আর নিতি আগ্রহী নহে। নাকি ছাত্রলীগের হাতে পুলিশ প্রটেকশনসহ দা বটি দিয়ে দূরে বইসা তামাসা দেখনের ভান ইটি।
আম্রা মানুষ অবশ্যই দুইটারেই সত্য বুঝি।
সর্বশেষ খবর হৈলো:
গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করসে ছাত্রলীগ। বেজায় আনন্দ পাইলাম। ছাত্রলীগের এই কর্ম্মকাণ্ড অবশ্যই আওয়ামিলীগের দায়ভার নেই। আশা করি তারা এ ব্যাপারে কুনো একশনে যাবেন না।
অবশ্যই এই কাম কিছুদিন পর মানুষ মনের আনন্দে করতি থাকবে, ছাত্রলীগ হওন লাগবো না। এবং আইনমন্ত্রীর কথামত আদালতের বাইরে মাঠেই সব মামলা নিস্পত্তি শুরু করবে। বিএনপিরে লাগবো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।