আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় ভিসায় কড়াকড়ি চায় বাংলাদেশ

ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশিদের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এই অনুরোধ জানানো হয়।
খবরে আরো বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবগুলো যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যাপকহারে বাংলাদেশি হিন্দু ও মুসলিম নাগরিক ভারত আসছেন।
ভারতের সীমান্তরক্ষী ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ ঢাকাকে এ ধরনের বিষয় আরো যাচাই-বাছাইয়ের অনুরোধ করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশও ভিসা অনুমোদনে ভারতকে আরো কঠোর হতে বলেছে।
পেট্রাপোল যৌথ চেকপোস্টের (উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হরিদাসপুর) তথ্য মতে, গত ৬ ডিসেম্বর ওই পথে অন্তত চার হাজার ১৮০ জন বাংলাদেশি ভারতে পাড়ি দিয়েছেন।

গত কয়েক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে চারশ’ বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে গেছেন।
একইদিন দিনাজপুরের হিলি যৌথ সীমান্তপথেও অন্তত ২৩৪ জন বাংলাদেশি বৈধভাবে ভারতে গেছেন।
সেদিন কুচবিহারের চেঙ্গরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ৪৯৮ জন ভারতে গেছেন, যদিও একই সীমান্ত দিয়ে এর আগে গড়ে ২৬ জন করে ভারতে যেত।


মাহাদীপুর সীমান্ত দিয়ে গড়ে ২৩ জন ভারত গেলেও ৬ ডিসেম্বর ওইপথ দিয়ে গেছে ২১১ জন বাংলাদেশি।
গজাডাঙ্গা সীমান্তে সাধারণত ৫০ জন করে বিভিন্ন সময়ে ভারতে যাওয়ার রেকর্ড থাকলেও ৬ ডিসেম্বর ওই পথদিয়ে ৪৪৫ জন বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়।


ভারতের অভিবাসন বিভাগের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে জানানো হয়, আগতদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যপরীক্ষার কারণ দেখিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
বিএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ভারতে ঢুকছে। তবে কাজ শেষে তাদের চলে যাওয়ার হারটি খুবই কম।
তবে ভিসা দেয়ায় কড়াকড়ি আরোপের পর আগতদের হার কিছুটা কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
একজন ঊচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, পেট্রাপোল, গজাডাঙ্গার মতো স্পর্শকাতর সীমান্তে তারা নজরদারি জোরদার করেছে।

এসব সীমান্তের পাশে থাকা যশোর ও খুলনা জেলায় বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির শক্ত ঘাটি রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্পর্শকাতর সীমান্তে আরো প্রহরী মোতায়েন করতে সরকারের উচ্চমহল থেকে নির্দেশনা আছে বলেও বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানান।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.