বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল ইন্টারনেট ইউজারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তার এলগরিদম আপডেটে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে। এই বছরটা ছিল গুগলের এলগরিদম আপডেটের সবচেয়ে বিস্ময়কর বছর। ২০১৩ সালেই গুগল পেঙ্গুইন, পান্ডা এবং হামিংবার্ড আপডেটের মত তিনটি গুরুত্ত্বপূর্ণ এলগরিদম আপডেট সংযোজন করেছে। যার ফলে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের সম্ভাব্য কী-ওয়ার্ড দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে।
প্রথম দিকে এই এলগরিদম আপডেটগুলো সম্পর্কে তৎক্ষনাৎ ধারণা না থাকার কারণে অর্থাৎ এই আপডেটগুলোর সঠিক উদ্দেশ্য বুঝতে না পারার কারণে এবং সেই সময় র্যাংকিংয়ের উপরের দিকে থাকা অনেকগুলো ওয়েবসাইট নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেকেই মনে করেছিল গুগলের এই এলগরিদম আপডেটগুলো সংযোজনের ফলে এসইও প্রোফেশানটি বোধহয় ধ্বংস হয়ে গেল!! যার কারণে অনেকেই এই আপডেটগুলোর কারণে এসইও এর ভবিষ্যত নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল।
কিন্তু আসলে গুগল স্পামিং রোধ করার জন্যই এই আপডেটগুলো সংযোজন করেছে। এই আপডেটগুলোর যুক্ত করার কারণে এখন শুধুমাত্র ভাল ওয়েবসাইটগুলোই গুগলের র্যাংকিংয়ে থাকবে এবং ইউজাররাও অনেক সহজে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ভাল সাইটগুলোকে অতি সহজে খুজে পাবে। অর্থাৎ এই এলগরিদম আপডেটগুলোর মাধ্যমেই এসইও এর গতানুগতিক ধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে যার কারণে এসইও এখন আগের চাইতে আরো অনেক বেশি স্মার্ট প্রোফেশান। এতে করে এসইও স্পেসিয়ালিস্টদের জন্য নিজের সাইটকে এগিয়ে রাখতে বা নিজেকে এগিয়ে নিতে অনেকটা ফাইট বা সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
যে কোনো বিষয়ে যখন খুব বেশী প্রতিযোগীতা থাকেনা তখন সেই বিষয়টির প্রতি মানুষের আকর্ষণও খুব একটা থাকেনা, এটাই স্বাভাবিক।
গুগলের এলগরিদম আপডেটগুলোর আগে অনেকে বাজেভাবে লিংক বিল্ডিং করেই খুব সহজে তাদের ওয়েবসাইটকে গুগলের টপে নিতে পারত। যে কারণে তখন প্রতিযোগীতামূলক এসইও করার প্রতি খুব বেশী আকর্ষণ বা প্রতিযোগীতা কোনোটাই দেখা যেতনা। কিন্তু এখন গুগলের এই আপডেটগুলোর কারণে আগের চাইতে নিজের কোম্পানিকে এগিয়ে রাখতে মানসম্পন্ন এসইও করাটা অনেক প্রতিযোগীতামূলক হয়ে গেছে। পাশাপাশি সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া বা নিজেকে এসইও এক্সপার্ট হিসেবে প্রমাণ করার চান্সটাও অনেক সহজে পাওয়া যাচ্ছে।
এটিকে বলা যায় এক প্রকার চাতুরীপণা থেকে কৌশলগত উপায়ে রূপ দেওয়া।
কারণ এখন আর আগের মত শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে এসইও করে সফল হওয়া যায়না, এখন লিংক বিল্ডিং এর পাশাপাশি ইউনিক কিছু কৌশলের উপর বেশ জোর দেওয়া চাই। অর্থাৎ এই এলগরিদম আপডেটের কারণে শুধুমাত্র অধিকতর যোগ্য এসইও এক্সপার্টরাই গুগলের পরবর্তী পদক্ষেপের সাথে তাদের কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং একমাত্র তাদেরই এসইওতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে যারা শুধুমাত্র চিরাচরিত লিংকবিল্ডিং এর উপর জোর দিয়ে কাজ করছেন এবং গুগলের এই আপডেটগুলোকে গুরুত্ত্ব সহকারে নিচ্ছেন না তাদের কাজে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না বললেই চলে।
আপনি ওয়েবসাইটের এসইও এর কাজ করেন বা করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই গুগলের আপডেটগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে যাতে কাজ করতে গিয়ে আপডেটগুলোর সাথে আপনার কাজের সমন্নয় ঘটাতে পারেন। সেই সাপেক্ষে বিভিন্ন কোম্পানি বা যারা এসইও এর ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করতে চান তাদের জন্য কার্যকরী কিছু টিপস দিচ্ছি।
২০১৩ সালে গুগলের যত এলগরিদম আপডেট ২০১৪ সালের এসইওতে সেগুলোর খুব একটা পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা নেই এবং এসইও এর ভবিষ্যৎ এই আপডেটগুলোর উপর ভিত্তি করেই হবে। কাজেই এই আপডেটগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়েই আপনাকে এগোতে হবে। আপনার এসইও কাজের ক্ষেত্রে লিংক বিল্ডিং হচ্ছে এক প্রকার সাপোর্টিং হ্যান্ড, এটি আপনার কাজকে কিছুটা সহজ করে দিবে মাত্র কিন্তু তাই বলে এমন না যে লিংক বিল্ডিং করেই আপনি আপনার এসইও কাজ শেষ করতে পারবেন। কাজেই অযথা বাজেভাবে লিংক বিল্ডিং না করে ভাল মানের লিংক কোয়ালিটির উপর জোর দেওয়ায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ। গুগলের সাম্প্রতিক এলগরিদম আপডেটগুলো বুঝে বা সেই কৌশলগুলো মেনে যারা এসইও করবে শুধুমাত্র তারাই বেনিফিটেড হবে।
অপ্রয়োজনীয় বা বাজেভাবে লিংক বিল্ডিং করে যারা এসইও করার চেষ্টা করবে তারা কোনোভাবেই সুবিধা লাভ করতে পারবেনা। অর্থাৎ শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিং করে এসইও করার দিন আসলেই ফুরিয়ে গেছে।
আশা করা যায় মানসম্পন্ন কনটেন্ট মার্কেটিং এর মূল্যমান আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে। যে সকল কোম্পানি বা এসইও স্পেসিয়ালিস্ট গুগলের আপডেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানসম্মত ইউনিক কনটেন্ট এর উপর জোর দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে গুগলের কাছে বা টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে তারাই বেশি প্রাধান্য পাবে, অন্যদিকে যারা ভুয়া বা অন্যের থেকে কপি করা কনটেন্ট ব্যাবহার করে কাজ করবে তারা খুব বেশি সুবিধা আদায় করতে পারবেনা। ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউটেই আমি এসইও ক্লাস করি।
এই ইনস্টিটিউটের প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং এসইও এক্সপার্ট একরাম স্যার আমাদের সবসময় বলে থাকেন যে একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর অনেকটাই নির্ভর করে আপনার মানসম্মত আর্টিকেলগুলোর উপর। উনি সবসময় সেই স্ট্র্যাটেজি ফলো করে কাজ করেন এবং সবসময় আমাদেরকে মনে করিয়ে দেন একটি সুন্দর ইউনিক আর্টিকেলের মাধ্যমেই আপনার সাইটের এসইও এর প্রায় অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। উনার কাছ থেকেই আমার এসইও এর হাতেখড়ি এবং উনিই প্রথম আমাকে বুঝাতে পেরেছেন আজেবাজে লিংক বিল্ডিং না করে একটি আর্টিকেলের ইউনিক কন্টেন্টগুলোর মাধ্যমেই বেশি ভাল এসইও করা যায় সাথে অনেক ভাল লিংকও পাওয়া যায় এবং সাইটে রেগুলার ভিজিটর পেতে এটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই মনে রাখতে হবে একটি আর্টিকেলের ক্ষেত্রে মানসম্মত কনটেন্ট এর গুরুত্ত্ব কিন্তু অনেক বেশি। একটি আর্টিকেলের আকর্ষণীয় লেখার মাধ্যমে সম্ভাব্য ভিজিটরদের আপনার সাইটের প্রতি যতটা দুর্বলতা তৈরি করতে পারবেন এবং যত বেশি নিয়মিত ভিজিটর পেতে পারেন অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে তা পারবেন না, এমনকি পীর-ফকিরের দোয়া-দরুদেও তা সম্ভব না।
ভিজিটরদের কাছে আর্টিকেলের মানসম্পন্ন কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনার সাইটের গুরুত্ত্ব অনেকখানি ফুটে উঠে। কাজেই ভাল মানের কনটেন্ট কোয়ালিটির উপর বেশি জোর দিতে হবে এবং সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার সাইটের কনটেন্টগুলো অনেক বেশি ইউনিক হয়। কেননা কেউ যদি আপনার লেখা আর্টিকেল পড়ার পরে বুঝতে পারে এটা অন্য কোনো জায়গা থেকে কপি করা তখন তারা অবশ্যই আপনার সাইটের প্রতি আস্থা রাখতে পারবেনা এবং সাইটে প্রবেশ করার মত আকর্ষণ ফিল করবেনা। আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত ইউনিক কনটেন্টগুলোর কারণেই ইউজাররা আপনার সাইটের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হবে এবং এতে আপনার সাইটে নিয়মিত ভিজিটর পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ভাল মানসম্মত কনটেন্ট ব্যাবহারের সুবিধাগুলো দেখুন :
গুগলের এলগরিদম আপডেটগুলোর কারণে আপনার সাইটটিকে কোন অবস্থানে দেখতে চান সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে আপনি কোন মানের কনটেন্ট ব্যাবহার করছেন এবং কাজের ক্ষেত্রে কি ধরণের কৌশল অবলম্বন করছেন সেটার উপর।
মানসম্মত কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি অবশ্যই আপনার সাইটের জন্য ভাল ফলাফল আনতে পারে।
গত কয়েক বছরে অনলাইন মার্কেটিং সেক্টরে স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলো অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রথম দিকে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে ফেসবুক এবং টুইটার রীতিমত অনলাইন বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও স্কুল, কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বয়স্ক লোকেদের কাছেও ফেসবুক সমানভাবে জনপ্রিয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের মধ্যে pinterest, Instagram, Google plus সহ আরো অনেক স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলো অনলাইন মার্কেটিংয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং বর্তমান অবস্থার কথা চিন্তা করলে এই ধরণের মিডিয়া সাইটগুলোর চাহিদা আরো বাড়তে পারে।
স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলোতে নিয়মিত উপস্থিতির মাধ্যমে আপনার পরিচিতি অনেকের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। আপনার উপস্থিতি বা কার্যক্রম বাড়ানোর মাধ্যমে অনেকের কাছে আপনার সাইটের গুরুত্ত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারেন সেই সাথে তাদের কাছে নিজের গুরুত্ত্বও অনেকাংশে বাড়ানো যায়। কাজেই স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলোকে গুরুত্ত্বসহকারে নিন এবং এগুলোতে আপনার কার্যক্রম বাড়িয়ে তুলুন।
বিভিন্ন কোম্পানি এবং এসইও প্রফেশনালিস্টরা নিচের যে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যেতে পারবেননাঃ
অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলোর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে গুগল প্লাস (Google+) ।
ধারণা করা হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে স্যোসিয়াল মিডিয়া সাইটগুলোর মধ্যে গুগল প্লাস বেশ জনপ্রিয়তা পাবে এবং অলরেডি এটি ফেসবুকের মত অন্য সব মিডিয়া সাইটগুলোর সাথে যথেষ্ট প্রতিযোগীতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার সাইটের কনটেন্টগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে সাইটে অনেক বেশি ট্রাফিক পেতে গুগল প্লাস অনেক কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছে। যেহেতু এতে গুগলের নিঃজস্ব ক্রেডিট রয়েছে তাই গুগলে অথরিটি বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে আপনার জন্য এটি যথেষ্ট সহায়ক হবে। তাই গুগল প্লাসকে আপনার সাইটের মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বসহকারে নিন। এখনো যদি আপনি গুগল প্লাসে একাউন্ট তৈরি না করে থাকেন তাহলে আর দেরী না করে একাউন্ট করে নিন এবং ভাল প্রোফাইল তৈরি করে শক্তিশালী একটি সার্কেল গঠন করুন।
আপনার কাজের নমুনা এবং কনটেন্টগুলো নিয়মিত শেয়ার করুন। এখানেও ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপের মত অনেক ভাল কমিউনিটি পাবেন, সেগুলোতে এড থাকুন, রেগুলার পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে দেখতে দেখতে আপনার ভাল একটি সার্কেল এমনিতেই হয়ে যাবে।
গুগলের এলগরিদম আপডেটগুলোর মধ্যে সর্বশেষ যে আপডেট সেটি হচ্ছে হামিংবার্ড আপডেট। অন্যান্য সব আপডেটগুলোর চাইতে এটিকে বেশ ইতিবাচক একটি পরিবর্তন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
গুগল তার সার্চ রেজাল্টকে ইউজারদের কাছে আরো সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্যই মূলত এই আপডেট গুলো করছে এবং হামিংবার্ড আপডেটের মাধ্যমে গুগল সেই লক্ষ্যে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
হামিংবার্ড আপডেটে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মত ছোট স্ক্রীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিশেষ সুবিধার কথা চিন্তা করা হয়েছে, কারণ যেখানে বর্তমানে প্রায় অর্ধেকের বেশি আমেরিকানরা স্মার্টফোন, এবং প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোকেরা ট্যাবলেটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ইউজ করছে। এমনকি শুধু আমেরিকানরা না, এই ধরণের স্মার্টফোন এবং ট্যাবের ব্যবহার এখন গোটা বিশ্বেই এক প্রকার বিপ্লব সৃষ্টি করে চলেছে।
কাজেই আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করতে হলে মোবাইল পারফরম্যান্সের ব্যাপারটিকেও মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনার সাইটটিকে এমনভাবে ডিজাইন দিতে হবে যাতে একই সাথে মোবাইল বা ট্যাবলেট এর মত ছোট স্ক্রীন এবং কম্পিউটারের বড় মনিটরেরও উপযোগী হয়।
আপনার সাইটটিকে যদি হামিংবার্ড আপডেট সহ অন্যান্য সব আপডেটগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ২০১৪ সালের এসইও এর জন্য পারফেক্ট একটা সাইট হিসেবে দেখতে চান, তাহলে আর দেরী করার কোনো সুযোগ নেই। মোবাইল অপটিমাইজেশনের বিষয়টিকেও পূর্ণ অগ্রাধিকার দেয়ার মাধ্যমেই আপনার সাইটটিকে অনেক বেশি এসইও বান্ধব করে তৈরি করে নিন।
কোন ধরণের কনটেন্ট ব্যবহার করা জরুরী? লং কনটেন্ট নাকি সর্ট কনটেন্ট? সেটি নির্ভর করে কে কনটেন্টটি তৈরি করছে,কি বিষয়ের উপর কনটেন্টটি লেখা হচ্ছে, কাদেরকে টার্গেট করে লেখা হচ্ছে বা কনটেন্টটির পাঠক কারা হবে এবং সবশেষে কনটেন্টটি যিনি লিখছেন সবকিছু বিবেচনা করে তিনি কোন ধরণের কনটেন্ট লিখতে চাচ্ছেন তার উপর।
উপরের বিষয়টিকে চিন্তা করলে অর্থাৎ লং কনটেন্ট বা সর্ট কনটেন্ট এর কথা বিবেচনা করলে আপনার সাইটটিকে যদি র্যাংকিংয়ে রাখতে চান তাহলে কোন ধরণের কনটেন্ট আপনি ইউজ করবেন? উত্তরটি হতে পারে অথবা/এবং/উভয়। অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ের উপর লিখছেন, আপনার টার্গেটেড পাঠক কারা হবে ইত্যাদি বিষয় গুলোকে মাথায় রেখে লং বা সর্ট যে কোন ধরণের মানসম্মত কনটেন্ট আপনি তৈরি করতে পারবেন।
তবে কনটেন্ট এর ব্যাপারে লেখার শুরুতে যেটির উপর বেশি জোর দিতে বলেছি এবং জোর দেয়া অনেক জরুরী সেটা হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার কনটেন্টটি যেন ইউনিক হয় এবং পাঠকদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়।
সাইটে ভাল ট্রাফিক পেতে, ভাল মানের লিংকবিল্ডিং করতে হলে অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পেতে মানসম্মত গেস্ট ব্লগিংকে সবসময় কার্যকরী একটি কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গেস্ট ব্লগিং এ সবসময় মানসম্মত ইউনিক আর্টিকেল লেখাটা অনেক জরুরি। বলা হয় মানসম্মত ইউনিক আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনার সাইটের এসইও এর প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ভালভাবে নিজের কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করা যায় আবার সেই সাথে নিজেরও ফ্রি ব্র্যান্ডিং হয়ে যায়, অর্থাৎ আপনার লেখনীর মাধ্যমেই অনেকের কাছে নিজের গুরুত্ত্বও তুলে ধরতে পারবেন।
এটিকে বলা যায় অথরিটি বিল্ডিং, যা গুগলের পেঙ্গুইন আপডেটে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ টপিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। গুগলের সাম্প্রতিক এলগরিদম আপডেটের কারণে গেস্ট ব্লগিং এর গুরুত্ত্ব কোনো অংশে কমেনি বরং কিছুটা বেড়েছে। গেস্ট ব্লগিং এ ভাল মানের কনটেন্ট বা আকর্ষণীয় লেখার মাধ্যমে ইউজারদের আপনার সাইটের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট করা যায় যার কারণে সাইটে প্রচুর পরিমাণে নিয়মিত ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই বছরটা ছিল এসইও এর জন্য আসলেই একটি বিস্ময়কর বছর। এই বছরে গুগলের এলগরিদম আপডেটগুলোর কারণে এসইও এর ভবিষ্যত অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গেছে এবং এসইও প্রোফেশানটি যে এই আপডেটগুলোর উপর ভিত্তি করেই হবে সেই ধারণাও স্পষ্টভাবে পাওয়া গেছে।
কাজেই গুগলের এই আপডেটগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করার চেষ্টা করুন এবং একজন সফল এসইও এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন।
এসইও সম্পর্কে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য পেতে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য এই ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
https://www.facebook.com/groups/creativeit/
======
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।