আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টার জলসার নাটকঃ বহু বিবাহ আর বহু গামীতা উপজিব্য


স্টার জলসার সিরিয়াল গুলো বাংলাদেশে নারী দর্শকের মাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। আর শিশুদের কাছে সিএন কাটুন চ্যানেল। বাচ্ছাদের কাছ থেকে যদি একটু আধটু সুযোগ পেয়ে যায় তাহলে চলে স্টার জলসার একটানা সিরিয়াল। এই দুয়ের কারণে এখন আর বাসায় টিভির অন্য চ্যানেল দেখা দু:সাধ্য। স্টার জলসার সিরিয়ারগুলো সন্ধ্যা থেকে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত একটানা চলে।

স্টার জলসার প্রতিটা নাটকের কাহিনী প্রায় একরকম। দেখা যায় যে নায়ক আগে একটি বিয়ে করেছেন এখন অন্য এক নারী তার সাথে ঘর বাধার জন্য পাগল হয়ে গেছে এবং তাকে নানা কাহিনীর চলে বিয়ে করে। অথবা নায়িকা বিয়ে হয়েছে অথবা প্রেম করছে একজনের সাথে বিয়ে করছে আরেক জনকে। আবার দেখা যায় যে বিয়ের দিন বর পাল্টে যাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে বাসর রাতেও তাদের বর পাল্টে যাচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি নাটক একরকম। একি অবস্থা! নাটক সমাজ জীবনের দর্পন। নাটকের মাধ্যমে সমাজের অনেক অসঙ্গতি তুলে ধরা হয় এবং তা থেকে পরিত্রান এবং শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরা হয়। মানুষের ভুলে কিভাবে তার জীবনে ট্রাজেডি বা বিপর্যয় নেমে আসে তা দেখানো হয়। আমরা দর্শকরা তা দেখে রোমাঞ্চিত হই এবং সঠিক পথের দিক নির্দেশনা পাই।

কিন্তু স্টার জলসার নাটকগুলো মৌলিক শিক্ষা থেকে অনেক দুরে। কেন স্টার জলসার নাটকগুলো এমন? একটু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা যাক- আমরা জানি হিন্দু পুরানে বহুবিবাহ সমর্থন করে না। বরং প্রাচীন প্রথা ছিল যে, স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে সহমরণে যেতে হত এবং সহ মরণে না গেলে তাকে বাকী জীবন বিধবা হয়ে থাকতে হতো, সে যত অল্প বয়সে বিধবা হোক না কেন। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর সহ অনেক সমাজ সংস্কারকের প্রচেষ্টার ফলে তাদের অনেক সংস্কার হয়েছে। এখন আর সহমরণে যেতে হয় না।

যেহেতু তাদের ধর্মে বহুবিবাহ সমর্থন করে না তাই নাটকের মাধ্যমে বহু বিবাহের প্রচলন করতে চাইছে। কিন্তু তারা যেভাবে চিত্রায়ন করছে তাতো রীতিমতো ব্যবিচারের পর্যায়ে পড়ে। প্রতিটি নাটকের কাহিনী এক রকম। এবং নাটকের মধ্যে বিবাহ আর বিবাহ, স্বামী স্ত্রির দাম্পত্য কলহ। কেন? সমাজে আর কোন অসঙ্গতি নেই যা নাটকের মধ্যে তুলে ধরা যায়।

স্টার জলসার নাটকগুলো চিত্রায়িত হয় বলতে গেলে একটা রুমের মধ্যে। দেখা যায় যায় যে, ১০/১২ জন অভিনয় শিল্পী দাড়িয়ে আছেন তাদের মধ্যে একজন কি দুজন পুরুষ থাকে আর বাকী সবাই মহিলা অভিনেত্রী এবং অভিনেত্রীরা অতিমাত্রায় সজ্জিত থাকে। এবং দেখা যায় যে পুরুষ চরিত্রগুলো মহিলা হুকুম তামিল করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজ নেই। তাদের মধ্যে একজন কি দুজন ভালো চরিত্রে অভিনয় করে আর বাকীরা কুট চরিত্রের। একটা নাটকে এতগুলো কুট চরিত্র থাকলেও নাটকের মান ঠিক থাকে না।

স্টার জলসার নাটক দেখে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে। কারণ স্টার জলসার নাটকগুলো আমাদের দেশের মহিলারাই একমাত্র দর্শক। পুরুষরা সাধারণত এই নাটকগুলো দেখে না বললেই চলে। মহিলারা এই পরকীয়া উপজিব্য নাটকগুলো গোগ্রাসে গিলছে আর তার থেকে কদর্য দিকগুলো শিখছে। বিশেষ করে স্টার জলসার পরকীয়া এবং বহুগামীতা নাট্যকার কৌশলে নাটকে ভাল হিসেবে উপস্থাপন করছে।

এবং আমার ধারনা স্টার জলসার নাটকগুলো লেখক একজনই। তাই প্রতি নাটকের ধাঁচ এক রকম। যিনি এই নাটকগুলো লেখেন তিনি বিকৃত রুচির। আমার ধারনা স্টার জলসার এ নাটকগুলো তাদের দেশের চেয়ে আমাদের দেশে বেশি দর্শক। সেদিক থেকে আমাদের দেশের নাটকগুলো অনেকটাই প্রানবন্ত।

সেখানে হাস্যরস ও জীবনবোধ উপজিব্য। পরকীয় বা অন্যবিষয়গুলো থাকলেও তা নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপিত হয়। এবং আমাদের দেশের প্রায় নাটকগুলো খুবই মানসম্মত এবং বিশ্বমানের। কিন্তু স্টার জলসার দৌরাত্যে সেগুলো দেখা যাচেছ না। সেগুলো দর্শক প্রিয়তা কম পাচ্ছে।

স্টার জলসার সিরিয়াল গুলো বাংলাদেশে নারী দর্শকের মাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। আর শিশুদের কাছে সিএন কাটুন চ্যানেল। বাচ্ছাদের কাছ থেকে যদি একটু আধটু সুযোগ পেয়ে যায় তাহলে চলে স্টার জলসার একটানা সিরিয়াল। এই দুয়ের কারণে এখন আর বাসায় টিভির অন্য চ্যানেল দেখা দু:সাধ্য। স্টার জলসার সিরিয়ারগুলো সন্ধ্যা থেকে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত একটানা চলে।

স্টার জলসার প্রতিটা নাটকের কাহিনী প্রায় একরকম। দেখা যায় যে নায়ক আগে একটি বিয়ে করেছেন এখন অন্য এক নারী তার সাথে ঘর বাধার জন্য পাগল হয়ে গেছে এবং তাকে নানা কাহিনীর চলে বিয়ে করে। অথবা নায়িকা বিয়ে হয়েছে অথবা প্রেম করছে একজনের সাথে বিয়ে করছে আরেক জনকে। আবার দেখা যায় যে বিয়ের দিন বর পাল্টে যাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে বাসর রাতেও তাদের বর পাল্টে যাচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি নাটক একরকম। একি অবস্থা! নাটক সমাজ জীবনের দর্পন। নাটকের মাধ্যমে সমাজের অনেক অসঙ্গতি তুলে ধরা হয় এবং তা থেকে পরিত্রান এবং শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরা হয়। মানুষের ভুলে কিভাবে তার জীবনে ট্রাজেডি বা বিপর্যয় নেমে আসে তা দেখানো হয়। আমরা দর্শকরা তা দেখে রোমাঞ্চিত হই এবং সঠিক পথের দিক নির্দেশনা পাই।

কিন্তু স্টার জলসার নাটকগুলো মৌলিক শিক্ষা থেকে অনেক দুরে। কেন স্টার জলসার নাটকগুলো এমন? একটু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা যাক- আমরা জানি হিন্দু পুরানে বহুবিবাহ সমর্থন করে না। বরং প্রাচীন প্রথা ছিল যে, স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে সহমরণে যেতে হত এবং সহ মরণে না গেলে তাকে বাকী জীবন বিধবা হয়ে থাকতে হতো, সে যত অল্প বয়সে বিধবা হোক না কেন। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর সহ অনেক সমাজ সংস্কারকের প্রচেষ্টার ফলে তাদের অনেক সংস্কার হয়েছে। এখন আর সহমরণে যেতে হয় না।

যেহেতু তাদের ধর্মে বহুবিবাহ সমর্থন করে না তাই নাটকের মাধ্যমে বহু বিবাহের প্রচলন করতে চাইছে। কিন্তু তারা যেভাবে চিত্রায়ন করছে তাতো রীতিমতো ব্যবিচারের পর্যায়ে পড়ে। প্রতিটি নাটকের কাহিনী এক রকম। এবং নাটকের মধ্যে বিবাহ আর বিবাহ, স্বামী স্ত্রির দাম্পত্য কলহ। কেন? সমাজে আর কোন অসঙ্গতি নেই যা নাটকের মধ্যে তুলে ধরা যায়।

স্টার জলসার নাটকগুলো চিত্রায়িত হয় বলতে গেলে একটা রুমের মধ্যে। দেখা যায় যায় যে, ১০/১২ জন অভিনয় শিল্পী দাড়িয়ে আছেন তাদের মধ্যে একজন কি দুজন পুরুষ থাকে আর বাকী সবাই মহিলা অভিনেত্রী এবং অভিনেত্রীরা অতিমাত্রায় সজ্জিত থাকে। এবং দেখা যায় যে পুরুষ চরিত্রগুলো মহিলা হুকুম তামিল করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজ নেই। তাদের মধ্যে একজন কি দুজন ভালো চরিত্রে অভিনয় করে আর বাকীরা কুট চরিত্রের। একটা নাটকে এতগুলো কুট চরিত্র থাকলেও নাটকের মান ঠিক থাকে না।

স্টার জলসার নাটক দেখে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে। কারণ স্টার জলসার নাটকগুলো আমাদের দেশের মহিলারাই একমাত্র দর্শক। পুরুষরা সাধারণত এই নাটকগুলো দেখে না বললেই চলে। মহিলারা এই পরকীয়া উপজিব্য নাটকগুলো গোগ্রাসে গিলছে আর তার থেকে কদর্য দিকগুলো শিখছে। বিশেষ করে স্টার জলসার পরকীয়া এবং বহুগামীতা নাট্যকার কৌশলে নাটকে ভাল হিসেবে উপস্থাপন করছে।

এবং আমার ধারনা স্টার জলসার নাটকগুলো লেখক একজনই। তাই প্রতি নাটকের ধাঁচ এক রকম। যিনি এই নাটকগুলো লেখেন তিনি বিকৃত রুচির। আমার ধারনা স্টার জলসার এ নাটকগুলো তাদের দেশের চেয়ে আমাদের দেশে বেশি দর্শক। সেদিক থেকে আমাদের দেশের নাটকগুলো অনেকটাই প্রানবন্ত।

সেখানে হাস্যরস ও জীবনবোধ উপজিব্য। পরকীয় বা অন্যবিষয়গুলো থাকলেও তা নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপিত হয়। এবং আমাদের দেশের প্রায় নাটকগুলো খুবই মানসম্মত এবং বিশ্বমানের। কিন্তু স্টার জলসার দৌরাত্যে সেগুলো দেখা যাচেছ না। সেগুলো দর্শক প্রিয়তা কম পাচ্ছে।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.