নওগাঁর সাপাহারে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার আইডি কার্ড তৈরির জন্য তোলা ছবিতে মাথার চুল বেরিয়ে থাকায় এক গৃহবধুর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে স্বামী। সেই সঙ্গে তার ওপর চালানো হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। এ ঘটনায় নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম (২৫) প্রায় ৬ বছর আগে একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ইয়াদুল হকের কন্যা রেশমা খাতুন (২২)-কে বিয়ে করে। বর্তমানে তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে।
কিছুদিন আগে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সরকারীভাবে ভোটার আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির ঘোষণায় রেশমা ভোটার না হওয়ায় নতুন করে ভোটার হওয়ার জন্য ইউপি কার্যালয়ে এসে নাম নিবন্ধন করে ছবি তোলে। ওই ছবিতে অসাবধানতাবশত মাথায় পরা স্কার্ফের এক পাশ দিয়ে মাথার সামনের দিকের কিছু চুল বেরিয়ে যায়। ছবি তোলার সময় মাথার চুল কেন বেরিয়ে এলো এই অপরাধে গৃহবধূ রেশমাকে পেতে হয় শাস্তি।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে স্বামী আনারুল তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে গৃহবধূ রেশমাকে গত ৮/১০দিন ঘরে আটকে রাখা হয়।
এক সময় সুযোগ পেয়ে রেশমা সেখান থেকে পালিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপোস-মীমাংসার চেষ্টার জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক দফা সালিশ হয়। সালিশে সমাধান না হওয়ায় অবশেষে গতকাল বুধবার রাতে রেশমা বাদী হয়ে স্বামী-শ্বশুরসহ ৪ জনকে আসামী করে সাপাহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাপাহার থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শাহীন রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।