মেটিওরা, গ্রীস। জায়গাটা এথেন্স থেকে হাজার খানেক মাইল উত্তর পশ্চিমে। এখানে আছে শ্বাসরুদ্ধকর উচ্চতায় অবস্হিত অপুর্ব সুন্দর কয়েকটা উপাসানালয় যেখানে সন্যাসীরা উপাসনা করার সাথে ওখানেই থাকা খাওয়াটা সারতেন। বিশ্বের আশ্চর্যজনক স্হাপনা গুলোর মধ্যে এটাও একটা।
প্রায় ১৩০০ ফুট উচ্চতায় উপাসানালয়গুলো তৈরী করা হয়।
প্রার্থনা করার এই চমৎকার জায়গাতে সন্যাসীরা পাহাড়ের গা বেয়েই উঠতেন শুধু দড়ি কৃত্রিম সিড়ি আর নিজের হাত ব্যবহার করেই। সিড়ি আগে ছিলনা, বসানো হয়েছে গত শতাব্দীতে!
জায়গাটা জাতিসংঘের তালিকাতে ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট এর তালিকা ভুক্ত।
গ্রীসের এই জায়গাতে পাচ হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ থাকত । স্হানীয় অধিবাসীরা আর সাথে সন্যাসীরা প্রায়ই বাইরের লোক দ্বারা আক্রান্ত হতো। ঐ বিরক্তিকর আক্রমন থেকে বাঁচবার জন্য সন্যাসীরা এখানকার গুহাতে চলে আসে আর নবম শতাব্দীতে এসমস্ত উপাসানালয় বানায় যেখানে আক্রমনকারীরা সহজে উঠতে পারতনা, উঠা কঠিন ছিল।
উঠার জন্য জোড়া লাগানো লম্বা সিড়ি বা দড়ির জাল লাগত যা সহজলভ্য ছিলনা। ফলে বহিরাগত আক্রমনকারীরা সহজে উঠতে পারতনা।
অবশ্য এগুলো তৈরী হয় নবম শতাব্দী থেকে পন্চদশ শতাব্দী সময়ের মধ্যে।
এগুলোর ভিতরে সন্যাসীরা বাস করত।
কোন কোনটা পরে সংস্কার করা হয়েছে।
ম্যাপে মেটিওরার অবস্হান
এক পাহাড় থেকে আরেকটাতে যাওয়ার কোন সহজ রাস্তাই নেই। সন্যাসীরা কি লাফিয়ে লাফিয়ে একটা থেকে আরেকটাতে যেতেন?
সুত্র:
http://en.wikipedia.org/wiki/Meteora
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।