আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থাইরয়েড হরমোন ও হৃদরোগের সম্পর্ক

মানবদেহের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে আলাদা আলাদা হরমোন নিঃসৃত হয়ে থাকে। প্রতিটি হরমোনের কার্যকারিতা মানবদেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিপাকীয়-জৈব রাসায়নিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। থাইরঙ্নি থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। গলার সামনে চামড়ার নিচে অবস্থিত এই থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি কোনো কারণে থাইরয়েড হরমোন (থাইরঙ্নি) অপর্যাপ্ত পরিমাণে নিঃসৃত হয়, এই অবস্থাকে থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা বলা হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে অটোইমিয়্যুন ডিজিজ অন্যতম।

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই এ অবস্থাকে বংশগত অসুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্য কারণগুলো হলো- অপারেশন করে থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলা, রেডিয়েশন থেরাপি ইত্যাদি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেকের জন্মগতভাবে এই হরমোন উৎপাদনের ত্রুটি থাকার কারণে থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা দেখা দেয়। কম গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে ভাইরাল ইনফেকশন, থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।

লক্ষণসমূহ : খুব অল্প শীতেই কাবু হয়ে যাওয়া বা শীত সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়া, খুব বেশি ক্লান্তি বোধ করা, নখ ও চুল ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, মাথার চুল কমে যাওয়া, নখ ফেটে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, খুব বেশি দুর্বলতা অনুভব করা, কাজকর্মে অনীহা, কাজ করতে গিয়ে অতি সহজেই পরিশ্রান্তবোধ করা, মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সমস্যা দেখা দেওয়া, মাসিকের সময় অত্যধিক রক্তপাত হওয়া, রোগের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, গলার স্বর

বা কণ্ঠ মৃদু হওয়া, ঘ্রাণশক্তি কমা।

খাবারের প্রতি অনীহা : অল্প খাদ্য গ্রহণে পেট ভরে যাওয়া, হজমে গোলমাল দেখা দেওয়া। শরীরের পশম ঝরে পড়া, বিষণ্নতা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের ভ্রূ ঝরে পড়া, চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়া। রোগীর অবস্থা অত্যধিক বিপর্যয় ঘটলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

হৃৎপিণ্ডের গতি কমে যেতে থাকে। রক্তচাপের বৃদ্ধি ঘটে। ফলশ্রুতিতে রোগীর হৃৎপিণ্ডে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ দেখা দেয়। যার ফলে বুক ধড়ফড় করা, প্রাথমিক অবস্থায় পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট হওয়া, অল্প পরিশ্রমে কাবু হয়ে যাওয়া, বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া। এর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর শারীরিক ওজন বৃদ্ধি ঘটে।

বিভিন্ন অস্থি সন্ধিতে (জয়েন্টে) ব্যথা অনুভূত হওয়া, মেয়েদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্ব দেখা দেওয়া।

রোগ নির্ণয় : রক্তে থাইরয়েড হরমোনের (থাইরঙ্নি) পরিমাণ নির্ণয় করা, অন্যান্য গ্রন্থির হরমোন পরিমাপ করা, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নির্ণয় করা ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদানের কৌশল নির্ধারণ করা হয়। ডা. এম শমশের আলী

সিনিয়র কন্সালট্যান্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

ফোন : ০১৯৭১-৫৬৫৭৬১।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।