আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুস্থ হার্টের জন্য করণীয়

বিশ্বের এক নম্বর হন্তারক রোগ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে হৃদরোগকে। প্রতি বছর ১৭ দশমিক তিন মিলিয়ন বা প্রায় পৌনে দু্ই কোটি মানুষ মারা যাচ্ছেন এই রোগে। অন্যদিকে ম্যালেরিয়া, এইডস এবং যক্ষ্মা_ এ তিনটি রোগ মিলে প্রতি বছর বিশ্বে মারা যাচ্ছেন ৩৮ লাখ মানুষ। সুস্থ হার্টের লক্ষ্যে পথচলা মূলত হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের ওপরেই জোর দেওয়া হয়। এ জন্য পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়েছে।

পরিবারের অভিভাবকরা, বিশেষ করে নারীদের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে বেশি। সন্তানদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা, তাদের শারীরিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন খাবার (বেশি চর্বিযুক্ত খাদ্য, টিনজাত খাবার ইত্যাদি) এড়িয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণে উৎসাহিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ব্যায়ামও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দৈহিক ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমে আসে। আমরা কথায় কথায় বলে থাকি শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ।

সেই ভবিষ্যৎ সচল রাখার জন্য শিশুর সুস্থ হার্টের দিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টিদানের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। একইভাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, তাই হার্ট সুরক্ষার আন্দোলন ও তৎপরতার বাইরে নারীকে রাখা হলে সেটা হবে আত্দঘাতী। নীরব ঘাতক হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে গোটা জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। বলা যায়, সুস্থ হার্ট অর্জন করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। হৃদরোগের চিকিৎসায় হলিস্টিক চিকিৎসা হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীন প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়।

এই চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দুটি। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম। রোগীর বয়স, রোগের ধরন এবং তার বর্তমান অবস্থার ওপরই নির্ভর করে তার প্রতিদিনের খাদ্যগ্রহণ। পুষ্টিকর ও পরিমিত আহার তাকে ফিট রাখে। ব্যায়ামের ব্যাপারটি বিবিধ।

তার আগে মন নিয়ন্ত্রণের জন্য চাই সঠিক উপায়ে মেডিটেশন। মানসিক চাপই মানুষের অসুখ ও অশান্তির মূল কারণ। মানসিক চাপ কমানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাজাগতিক শক্তি থেকে জ্যোতি বা প্রাণরস আহরণের কথাও বলা হয়ে থাকে। এসব অর্জনের কাজটি কিন্তু অত সহজ নয়।

তার জন্য নিয়মিত সময় দিতে হয়, চর্চা করতে হয় সঠিক নিয়ম মেনে। যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিঙ্_ প্রতিটিরই নিজস্ব রীতিনীতি আছে। আমরা অবশ্যই হৃদয়ের কথা শুনব। ফিরে তাকাব আমাদের হার্টের সুস্থতার দিকে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে সচেষ্ট হব।

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তথ্যভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দিতে হবে মানুষের সামনে।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, হলিস্টিক হেলথ কেয়ার

সেন্টার, ঢাকা। ফোন : ৮১২৯৩৮৩, ০১৯২১৮৪৯৬৯৯

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।